মাঘী পূর্ণিমার পুণ্যস্নানের আগে প্রয়াগরাজে যানবাহন প্রবেশ নিয়ে কড়াকড়ি করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তার প্রভাবে তীব্র যানজট জাতীয় সড়কে। সেই আঁচ গিয়ে পড়ল প্রতিবেশী বিহারেও। জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়ল একের পর এক গাড়ি। এক চুল এগোনোর জায়গা নেই। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকে পথেই রাত কাটালেন পুণ্যার্থীরা। বিহারের সাসারামে জাতীয় সড়কে ঠান্ডায় না খেয়ে যানজট কাটার অপেক্ষা করলেন।
বুধবার মাঘী পূর্ণিমার পুণ্যস্নান রয়েছে প্রয়াগরাজের কুম্ভে। এই মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের মোট ছ’টি তিথি রয়েছে। তার মধ্যে বুধবার পঞ্চম তিথি তথা মাঘী পূর্ণিমা। সেই উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হতে চলেছে প্রয়াগরাজে। যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই শহরে যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে যোগী সরকার। মঙ্গলবার সকাল থেকে মেলাচত্বরে যানবাহন নিষিদ্ধ ছিল। তাতে যদিও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। উল্টে প্রয়াগরাজে গাড়ি ঢুকতে না পারায় জাতীয় সড়কে ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে যানজট। সেই যানজটের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে প্রতিবেশী বিহারেও। মঙ্গলবার সকালেও সাসারামে জাতীয় সড়কে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। সোমবার রাত থেকেই শুরু হয় সেই যানজট। তার জেরে গাড়িতে আটকে পড়েন বহু পুণ্যার্থী। মাঘের ঠান্ডায় গাড়িতেই রাত কাটাতে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন:
অনেক পুণ্যার্থীর অভিযোগ, এক বোতল জল পর্যন্ত পাননি তাঁরা। না খেয়েই কেটেছে গোটা রাত। অনেকে বাস, গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। কিছু পুণ্যার্থী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আঙুল তুলেছেন উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দিকে। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি যানজটে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী, পর্যটক। এমনকি পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকও আটকে পড়েছে। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সোমবারও প্রয়াগরাজের রাস্তায় এ রকমই যানজট তৈরি হয়েছিল। সেই যানজটের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ৩০০ কিলোমিটার। উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে যানাবাহনের সারি পৌঁছে গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ, বিহারে। তাতে আটকে পড়েছিল জরুরি পণ্যের ট্রাক থেকে অ্যাম্বুল্যান্স। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকর্মীরা বার বার অনুরোধ করেন, ‘‘আর এগোবেন না, ফিরে যান।’’ কিন্তু কে কার কথা শোনে! অভিযোগ, সেই যানজট কাটতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গিয়েছে। এর মধ্যে আবার বিহারের পথে নতুন করে শুরু হয়ে গিয়েছে যানজট।