রাজ্য হিসাবে সিকিম ৫০ বছরে পা দিল। শুক্রবার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের দিনেই গোটা দেশের জন্য একটি ‘উপহার’ ঘোষণা করল সিকিম সরকার। এই প্রথম তারা ‘স্নো লেপার্ড’ শুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করল। সেই রিপোর্ট বলছে, সিকিমে লু্প্তপ্রায় স্নো লেপার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে এখন হয়েছে ২১।
শুক্রবার রিপোর্টটি যৌথ ভাবে পেশ করেছে সিকিমের বন এবং পরিবেশ দফতর এবং ডব্লিউডব্লিউএফ-ইন্ডিয়া (ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ড ফর নেচার ইন্ডিয়া)। সেই রিপোর্ট বলছে, সে রাজ্যের উত্তর এবং পশ্চিমে বিলুপ্রপ্তায় স্নো লেপার্ডের সংখ্যা এখন ২১। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে দু’বছর ধরে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে নজর রেখে, ক্যামেরা বসিয়ে এই তথ্য মিলেছে। ভবিষ্যতে এখানে এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলেও সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। এই আবহে সিকিম একটি নতুন প্রতীক প্রকাশ করেছে— কুজ়ু নামে একটি স্নো লেপার্ড। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিমের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের অঙ্গীকারকে মাথায় রেখে এই প্রতীক তৈরি করা হয়েছে।
সিকিমের বন এবং পরিবেশ দফতরের মুখ্যসচিব প্রদীপ কুমার জানিয়েছেন, বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক। তিনি আরও জানিয়েছেন, কোনও কোনও ক্যামেরায় স্নো লেপার্ড এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এক সঙ্গে ধরা পড়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট সিকিমের জীববৈচিত্র্য।
১৯৭৫ সালে রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল সিকিম। সেই স্বীকৃতির সুবর্ণজয়ন্তীতে রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন যে, এই রাজ্যের সঙ্গে সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং পরিশ্রমী মানুষজন জড়িয়ে রয়েছেন। এই সুন্দর রাজ্যের মানুষজন এ ভাবেই সমৃদ্ধ হতে থাকুন বলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী।