মণিপুরে হিংসার একটি ছবি। —ফাইল চিত্র।
সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দু’জনের প্রাণ গেল মণিপুরে। শনিবার রাতে দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে দু’জন ‘গ্রামসেবক’ নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার রাতে খোইজুমন্তবি গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময় এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন ‘গ্রামসেবকরা’। তখনই কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাঁদের গুলির লড়াই বাধে।
গত দু’মাস ঘরে মণিপুরে গোষ্ঠীসংঘর্ষে একশোরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দাবি। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রঞ্জন সিংহের বাড়িতে পেট্রল বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। মণিপুর সরকারের একমাত্র মহিলা মন্ত্রী কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক নেমচা কিগপেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য, কারিগরি এবং ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী এল সুসীন্দ্র মেইতেইয়ের বাড়ি সংলগ্ন একটি গুদামঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। অশান্তির মধ্যেই সে রাজ্যে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তার পরও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। বিজেপি শাসিত মণিপুরে অশান্তি নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব, সেই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে দিল্লিতে সর্বদল বৈঠক করেছিলেন শাহ। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সঙ্গেও বৈঠক হয় শাহের। সাত দিনের বিদেশ সফর সেরে দেশে ফেরার পরই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত সপ্তাহে মণিপুরে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বীরেন সিংহ। তবে পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন তিনি। শনিবার ‘এনডিটিভি’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সে রাজ্যের হিংসায় যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কেউ নেই। কিন্তু পরে সমর্থকদের ‘ভালবাসা’তেই তিনি সিদ্ধান্ত বদল করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy