তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তামিলনাড়ুর দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুবনমালাই জেলায়। সোমবার রাতের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের ইতিমধ্যে চাকরি থেকেও নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা তরুণী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। মায়ের সঙ্গে ফল বিক্রি করতে তিরুবনমালাইয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ট্রাকে করে ফল নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। গাড়িতে ছিলেন চালক এবং মা-মেয়ে। সোমবার বেশি রাতের দিকে রাস্তার ধারে একটি জায়গায় গাড়ি থামিয়ে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম করছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই স্থানীয় থানার নৈশটহল দলের একটি গাড়ি এসে থামে ট্রাকের সামনে। গাড়িতে কী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তাঁরা।
নির্যাতিতার অভিযোগ, সেই সময়েই দুই কনস্টেবল তাঁকে জোর করে টানতে টানতে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। এর পর সেখান তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতনের পরে ওই শুনশান এলাকাতেই তরুণীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান দুই পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন:
পরে কোনওক্রমে ওই তরুণী নিকটবর্তী একটি গ্রামে পৌঁছোন। গ্রামবাসীরাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। খবর দেওয়া হয় থানাতেও। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে তিরুবনমালাই জেলার মহিলা থানায় এফআইআর রুজু করা হয়। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ওই দুই কনস্টেবলকে চিহ্নিত করে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের চাকরি থেকেও নিলম্বিত করা হয়েছে।
অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হলেও সোমবার রাতের ওই ঘটনায় নারীসুরক্ষা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তামিলনাড়ুতে। এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এআইএডিএমকে নেতা ই পলানিস্বামী। পুলিশকর্মীরাই যেখানে অভিযুক্ত, সেখানে মহিলারা কী ভাবে নিরাপদ বোধ করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।