শিক্ষা আধিকারিক পাণ্ডে জানিয়েছেন, দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে সেই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। প্রতীকী ছবি।
জেলা প্রশাসন বদলির নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বদলি নিতে নারাজ দুই শিক্ষক। দু’পক্ষই যখন নাছোড়, শেষমেশ নিজেদের বদলি রুখতে নজিরবিহীন কৌশল অবলম্বন করলেন দুই শিক্ষক। জেলা প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে তাঁরা ২৪ জন পড়ুয়াকে স্কুলেরই ছাদে বন্দি করে রাখলেন। শুক্রবার এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির বেহজামের কস্তুরবা গাঁধী বালিকা বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই শিক্ষকের কাছে বদলির নির্দেশ আসার পরই তাঁরা প্রতিবাদে সরব হন। তাঁরা সেই নির্দেশ বাতিল করার দাবি তোলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন সেই নির্দেশ বাতিল করতে রাজি হয়নি। তখন দুই শিক্ষক জেলা প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করেন। শেষমেশ তাঁরা দু’জনে বৃহস্পতিবার ২৪ জন ছাত্রীকে স্কুলের ছাদে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন। এবং জানান, তাঁদের দাবি না মানলে ছাত্রীদের ছাড়া হবে না।
ছাত্রীদের বন্দি করার খবর জেলা প্রশাসন এবং শিক্ষা দফতরের কাছে পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শিক্ষা দফতরের দুই আধিকারিক লক্ষ্মীকান্ত পাণ্ডে এবং রেণু শ্রীবাস্তবের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনকে চাপে রাখতে এই কাজ করেছেন শিক্ষক মনোরমা মিশ্র এবং গোল্ডি কাটিয়ার। বেশ কিছু ক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েনের পর ছাত্রীদের দুই শিক্ষকের হাত থেকে মুক্ত করতে সমর্থ হন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন।
শিক্ষা আধিকারিক পাণ্ডে জানিয়েছেন, দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে সেই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
পাণ্ডে আরও জানিয়েছেন, দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যদি দোষী প্রমাণিত হন, তা হলে তাঁরা চাকরিও খোয়াতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy