বসার জায়গা নিয়ে দুই যাত্রীর বচসা। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
মোটামুটি ফাঁকা মেট্রো। ফুটবোর্ডেও খুব বেশি যাত্রী নেই। কামরার মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কয়েক জন বসে। ট্রেনে উঠেই মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট বসার আসনের দিকে এগিয়ে গেলেন এক মহিলা। তখন সেই আসনে একটু ফাঁকা ফাঁকা করেই বসেছিলেন চার জন। দুই মহিলা যাত্রী আবার পাশে ব্যাগও রেখেছিলেন।
অফিসের ব্যস্ততা। ফলে ট্রেনে উঠে সকলেই একটু বসার জায়গার খোঁজ করেন। নেহাত না পেলে দাঁড়িয়েই যান। কেউ কেউ আবার বসার জন্য বলেন, ‘দাদা, একটু চেপে বসবেন!’ আসনে বসা যাত্রীদের যদি মনে হয় ওই ব্যক্তিকে জায়গা দেবেন, তা হলে একটু একটু করে চেপে বসে জায়গা করে দেন। অনেক সময় তা-ও হয় না। তখনই সূত্রপাত হয় বচসার।
এই মহিলাও মেট্রোও উঠে ফাঁকা জায়গা দেখেছিলেন। অন্তত তাঁর বসার মতো জায়গা ছিল। আর তা দেখেই এগিয়ে যান আসনের দিকে। শাড়ি পরা মহিলাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “ব্যাগটা কোলে নিয়ে একটু সরে বসবেন?”
মহিলার ‘সরে বসবেন’ মন্তব্য শুনেই যেন তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন শাড়ি পরা মহিলা। পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘কেন সরব? অন্য কোথাও গিয়ে বসুন!’
মহিলা পাল্টা বলেন, “আপনার এখানে জায়গা রয়েছে, তা-ও কেন বসতে দিচ্ছেন না?” এ বারও উত্তর এল, “না, এখানে কোনও জায়গা নেই।” ব্যস, শুরু হল তর্কাতর্কি। তত ক্ষণে বাঁ দিকে বসা অন্য এক মহিলা যাত্রী শাড়ি পরা মহিলাকে বলেন, “আপনার সরতে আপত্তি কোথায়?”
এর পরই দাঁড়িয়ে থাকা মহিলা শাড়ি পরা মহিলার পাশে গিয়ে জোর করে বসে পড়েন। তখনও তিনি ব্যাগটা পাশ থেকে কোলে তুলে নেননি। শাড়ি পরা মহিলা রেগে গিয়ে বলেন, “এ কী, আপনি তো কোলের উপর বসে পড়ছেন?”
পাল্টা জবাব এল, “অনেক ক্ষণ ধরে তামাশা করছেন, সিআর স্যরকে ডাকব!” শাড়ি পরা মহিলা বলেন, “যাঁকে খুশি ডেকে নিয়ে আসুন।”
এই বাগ্বিতণ্ডা যখন চলছে দুই সহযাত্রীর মধ্যে, পাশে বসা আর এক মহিলা যাত্রী তখন বার্গারে কামড় বসাতে বসাতে সেই ঝগড়ার ‘মজা’ নিচ্ছিলেন! ট্রেন এক স্টেশন ছেড়ে আর এক স্টেশনে ঢুকল, তখনও দু’জনের কথা কাটাকাটি চলছিল। এর পরই ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়। ঘটনাটি দিল্লি মেট্রোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy