ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে আগুনে পুড়ে ১০টি সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আজ সেই শিশুদের বাবা-মা, পরিজনদের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাজ্য সরকার যখন এই ধরনের ঘটনা এড়াতে সব হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আশ্বাস দিচ্ছে তখনই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাণ্ডারার জেলা হাসপাতালের কর্মীদেরই দুষলেন মৃত শিশুদের পরিজনরা।
গত কালের ভয়াবহ ওই ঘটনার পর মুম্বই থেকে আজ ভাণ্ডারায় পৌঁছন উদ্ধব। দেখা করেন মৃত শিশুদের বাবা-মায়েদের সঙ্গে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। পরে উদ্ধব সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘হাতজোড় করে আমি ওই শিশুদের পরিজনদের সামনে গিয়েছি। তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার কোনও ভাষা আমার জানা নেই।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, তদন্তের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। দেখা হবে এটা দুর্ঘটনা না কি কারও কাজের অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এ সঙ্গেই মহারাষ্ট্রের সব হাসপাতালে সেফটি অডিট করাতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভাণ্ডারার জেলা হাসপাতালের সদ্যোজাতদের অগ্নিদগ্ধ হওয়া নিয়ে হাসপাতালের কর্মীদেরই দুষছেন মৃত শিশুদের পরিজনরা। গত কালই নিজেদের দু’মাস বয়সি মেয়েকে হারিয়েছেন গীতা ও বিশ্বনাথ বেহেরে। তাঁদের অভিযোগ, আগুন যখন লাগল, তখন নবজাতকদের বিশেষ কেয়ার ইউনিটে কোনও চিকিৎসক কিংবা নার্স উপস্থিত ছিলেন না। ফলে গোটা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকটিই সামনে আসছে। একই অভিযোগ আর এক সদ্যোজাতের পরিবারের।
ভাণ্ডারা জেলার রাবণওয়াদির বাসিন্দা বন্দনা সিদাম জানুয়ারির ৩ তারিখ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি শিশুকন্যার জন্ম দিয়েছিলেন। ওজন স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম থাকায় সদ্যোজাতকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। বন্দনার পরিবারের অভিযোগ, এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই দায়ী। দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy