জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিমানের। ইঞ্জিন বিকল হয়েই অহমদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ব্রিটেনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। কিন্তু ১৫ পাতার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেও বহু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। আবার উঠেছে নতুন প্রশ্নও। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের ‘এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ (এএআইবি) সেই তদন্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে বলে জানাল।
অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে ভারতের এএআইবি, যা দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ। তারাই শনিবার তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। এএআইবি জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমানের দু’টি ইঞ্জিনে জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সুইচ দু’টি ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ‘রান’ থেকে ‘কাট অফ’ অবস্থানে চলে গিয়েছিল। ওই দুই সুইচের মাধ্যমে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রিত হয়। ‘কাট অফ’ অবস্থানে যাওয়ামাত্র জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইঞ্জিন দু’টি ‘থ্রাস্ট’ হারিয়ে ফেলে। এই ‘থ্রাস্ট’ ইঞ্জিনের ক্ষমতার পরিচায়ক। তা থেকেই বিমানের গতি নির্ধারিত হয়। এ ক্ষেত্রে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ‘থ্রাস্ট’ কমে যায়। তার ফলে মাত্র ৩২ সেকেন্ড আকাশে থাকার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রিটেনের এএআইবি-ও তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কারণ, ওই বিমান দুর্ঘটনায় যে ২৪১ জন আরোহীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫২ জন ব্রিটেনের নাগরিক ছিলেন। ব্রিটেনের এএআইবি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘আমরা এই প্রাথমিক রিপোর্টকে স্বাগত জানাচ্ছি। ওই রিপোর্ট পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা ভারতের এএআইবি-র সঙ্গে সমন্বয় রাখছি।’’