ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
একটা মোটরবাইক আরোহীর এত বড় সাহস! সে কি না টপকে যাবে অত দামি আর অত বড় এসইউভি-কে! আর তাতে এসইউভি-আরোহীর ইজ্জতে লাগবে না? তা-ও আবার এক বিজেপি নেতার ছেলের ইজ্জত বলে কথা!
অনেক চেষ্টা করেও দু’চাকার মোটরবাইককে টপকাতে না পেরে এসইউভি থেকে নেমে মোটরবাইক আরোহীদের বেধড়ক পেটালেন এক নেতার ছেলে। দিন কুড়ি আগে এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের খেরখাট্টায়। রায়পুর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে। রাজনৈতিক নেতার ছেলের ‘দাদাগিরি’র সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতা মন্টুরাম পাওয়ার। অগস্টের ১৫ তারিখে তাঁর ছেলে নান্নু পাওয়ার কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে একটি এসইউভি চালিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কাউকে পরোয়া না করে রাস্তার মধ্যিখান দিয়ে সজোরে সবাইকে পিছনে ফেলে তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল গাড়িটি। মুশকিলটা হল একটি মোটরবাইককে টপকাতে গিয়ে।
এসইউভি বলেই তাকে রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে নাকি? মোটরবাইকটিও এসইউভি-কে ছেড়ে কথা বলার ‘পাত্র’ নয়। গতিবেগ দ্বিগুণ করে এসইউভি-কে টপকে চলে যায় মোটরবাইকটি। ব্যস, আর যায় কোথায়? ফাঁকা রাস্তায় তখন শুরু হয়ে যায় মোটরবাইক আর এসইউভি-র রেষারেষি। কিন্তু কোনও ভাবেই মোটরবাইককে টপকাতে পারছিল না বিজেপি নেতার ছেলের এসইউভি। কোনও রকমে মোটরবাইকটির গা ঘেঁষে তাকে দাঁড় করিয়েই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন ওই বিজেপি নেতার ছেলে নান্নু আর তাঁর বন্ধুবান্ধবরা। তার পরেই শুরু হয়ে যায় মোটরবাইক আরোহীদের বেধড়ক মারধর। মোটরবাইকে দু’জন ছিলেন। দু’জনকেই রাস্তায় ফেলে মারা হয়। আর সেই ‘দাদাগিরি’র পুরোটাই মোবাইলে ভিডিও ক্যামেরায় তুলে রাখেন স্থানীয় এক যুবক। যা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। তার পরেও পুলিশ ‘নিধিরাম সর্দার’! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়া এখন তোলপাড়।
তবে এই ঘটনাই প্রথম নয়। গত জুনে মার্সিডিস গাড়ির ধাক্কায় দিল্লিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়। সেই মার্সিডিসটিও চালাচ্ছিলেন এক কংগ্রেস নেতার ছেলে।ঘটনার কয়েক দিন পর পুলিশের কাছে চুপিসাড়ে আত্মসমর্পণ করে সঙ্গে সঙ্গে জামিনে ছাড়াও পেয়ে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy