কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। ফাইল চিত্র।
উপত্যকা থেকে জম্মুতে বদলির জন্য আন্দোলনরত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। কোনও রকম রাখঢাক না করেই তিনি জানিয়েছেন, মানুষের জীবনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিয়োগ প্রকল্পে বহু কাশ্মীরি পণ্ডিতকে উপত্যকায় কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু লাগাতার জঙ্গি-নিশানা হওয়ার কারণে অন্তত ছ’হাজার কর্মচারী গত সাত মাস ধরে কাজে যোগ দিচ্ছেন না। কাশ্মীরি পণ্ডিত কর্মচারীরা দাবি তুলেছেন, তাঁদের জম্মুতে বদলি করতে হবে। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করেছে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হার মন্তব্য। তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনরত কর্মীরা কাজে যোগ না দিলে তাঁরা বেতন পাবেন না।
উপরাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পরেই মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সমর্থনে তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এক জন কর্মীরও যদি জীবন সংশয় হয়, তা হলে প্রাণ বাঁচাতে এক ডজন দফতর বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আগে তো মানুষের জীবন।’’
জম্মুতে বিজেপির দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ক্ষুব্ধ কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা। জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, সরকারি দফতরে কর্মরত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় পাঠিয়ে কোনও ভাবেই ‘বলির পাঁঠা’ করা যাবে না।
এ দিকে, কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা অব্যাহত। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা যৌথ ভাবে তল্লাশি চালিয়ে বারামুলা জেলার উরি সেক্টর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে। এক সংবাদ সংস্থাকে সেনা অফিসার কর্নেল মণীশ সিংহ বলেছেন, ‘‘আটটি একেএস, ৭৪টি রাইফেল, ১২টি চিনা পিস্তল-সহ বিপুল অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে চিন ও পাকিস্তানে তৈরি গ্রেনেড। পাকিস্তানের পতাকা আঁকা বেলুন।’’ ওই সেনা অফিসারের দাবি, রীতিমতো যুদ্ধ চালানোর মতো অস্ত্র মজুত করা হয়।
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি মহম্মদ ওয়াসিম নজর নামে এক পোলট্রি মালিককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর মাদক। পুলিশের জেরায় তিনি তাঁর সঙ্গীদের নাম বলে দিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরেই এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের হদিস মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy