ক্রিকেটের সম্পূর্ণ ‘দেশি’ সংস্করণ। ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত।
জন্মলগ্ন থেকে বিবিধ পরিবর্তনের সাক্ষী থেকে ক্রিকেট। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রিকেটের সরঞ্জাম যেমন উন্নত হয়েছে, তেমনই খেলার পদ্ধতিতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। তবে সম্প্রতি বারাণসীতে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে যা ঘটল তা হার মানিয়ে দেবে অতীতের সবকিছুকে। ক্রিকেটের সম্পূর্ণ ‘দেশি’ সংস্করণের কী রকম হতে পারে, তারই আভাস দিল এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
খেলা চলছে জোর কদমে।চার-ছক্কা হলেই হাততালি আর চিৎকারে কাঁপছে মাঠ। খেলোয়াড়দের জার্সিটা কিন্তু একটু অন্য রকম— ধুতি ওকুর্তা, কপালে ত্রিপুণ্ড (শিবলিঙ্গের গায়ে থাকা তিলক)। এমনকি ক্রিকেট ম্যাচের ধারাভাষ্যও চলছে সংস্কৃত ভাষায়! আম্পায়ার ও ধারাভাষ্যকারীরাও পরেছেনএই ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক।
না, কোনও সিনেমার শুটিং নয়।সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে এই অভিনব ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিদ্যালয়ে ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়েছিল। এতে অংশগ্রহণ করেছিল বিভিন্ন সংস্কৃত মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি ম্যাচ ছিল দশ ওভারের।
বারাণসীর এক সংস্কৃত মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষক গণেশ দত্ত শাস্ত্রী বলেছেন, “এই প্রতিযোগিতা ছাত্রদের খেলাধূলায় উৎসাহিত করার জন্যই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেছেন, ‘‘বারাণসীর সকল সংস্কৃত বিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি দল রয়েছে এবং সব ছাত্ররা এখানে ধুতি ও কুর্তা পরে খেলেছে। সংস্কৃতেই ক্রিকেটের ধারাভাষ্য চলেছে। ধারাভাষ্য করছেন দুই শিক্ষক শ্রেষ্ঠ নারায়ণ মিশ্র ও বিকাশ দীক্ষিত।’’
দেশে এই ধরনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এই প্রথমবারের জন্য আয়োজিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হিন্দুরীতি মেনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে বিয়ে করলেন জুনেইদ
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy