Advertisement
E-Paper

কাশ্মীরের সমস্যায় নাক গলাতে নারাজ রাষ্ট্রপুঞ্জ

কাশ্মীর সমস্যায় রাষ্ট্রপুঞ্জকে জড়িয়ে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যর্থ হল নওয়াজ শরিফের সেই চেষ্টাও। কাশ্মীরের সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনা করেই মেটাতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মহাসচিব বান কি মুন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫১

কাশ্মীর সমস্যায় রাষ্ট্রপুঞ্জকে জড়িয়ে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যর্থ হল নওয়াজ শরিফের সেই চেষ্টাও। কাশ্মীরের সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনা করেই মেটাতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মহাসচিব বান কি মুন।

কাশ্মীরে রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যস্থতার দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই জানিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। সাধারণ সভার চলতি অধিবেশনেও কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যস্থতার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন নওয়াজ শরিফ। এর পরে বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। কিন্তু পাক দূতাবাসের দেওয়া
বিবৃতি থেকেই জানা যাচ্ছে, কাশ্মীর সমস্যার মীমাংসায় নাক গলাতে রাজি হয়নি রাষ্ট্রপুঞ্জ।

পাক দূতাবাস জানিয়েছে, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে একটি নথি এ দিন বানের হাতে তুলে দিয়েছেন শরিফ। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি জানতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরপেক্ষ দলের তদন্ত একান্ত প্রয়োজন। ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাব মেনে চলতে বলার জন্যও বানকে অনুরোধ করেন শরিফ।

জবাবে বান কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ভারত-পাক আলোচনার উপরেই জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার স্বার্থে অত্যন্ত জরুরি।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব হিসেবে সাধারণ সভায় শেষ বক্তৃতায় আইএসের উপদ্রব, সিরিয়া সমস্যা, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাতের মতো নানা বিষয় উল্লেখ করেছেন বান। কিন্তু সেখানেও নেই কাশ্মীর।

কূটনীতিকদের মতে, রাষ্ট্রপুঞ্জের এই অবস্থান প্রত্যাশিত। উপত্যকায় লাগাতার অশান্তির জেরে সেখানে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চেয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু ভারতের আপত্তিতে তা হয়নি। দিল্লি কাশ্মীর নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে থাকলেও কূটনীতিকদের একাংশ নিশ্চিত ছিলেন যে, রাষ্ট্রপুঞ্জ এখনই উপত্যকার অশান্তিতে নাক গলাবে না। বরং উরি হামলার পরে বিভিন্ন দেশ যে ভাবে পাকিস্তানের সমালোচনা করেছে, তাতে ইসলামাবাদই চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছে।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপের কথায়, ‘‘নওয়াজ শরিফ যে বিষয়টি নিয়ে বক্তৃতার ৮০ শতাংশ খরচ করেছেন তা নিয়ে অন্য কোনও দেশ মুখ খোলেনি। বরং অনেকে সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবও দ্বিপাক্ষিক ভাবে কাশ্মীরের মীমাংসা করতে বলেছেন। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে পাক কূটনীতি কতটা সফল হয়েছে।’’

বিদেশ মন্ত্রকের আর এক কর্তার কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জ বার বারই জানিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্মতি ছাড়া তারা কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করবে না। শরিফের আর্জিতে যে সেই অবস্থান বদলাবে না তা আমরা জানতাম।’’

Kashmir United Nation Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy