Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Unnao

উন্নাওয়ে দলিত কিশোরীদের রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে বিষপ্রয়োগ, দাবি ময়নাতদন্তে

বুধবার উন্নাওয়ে এক দলিত পরিবারের চাষের ক্ষেতে অচেতন অবস্থান পাওয়া যায় ৩ কিশোরীকে।

উন্নাওয়ে দুই দলিত কিশোরীর শেষকৃত্যের আগে করা পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় এলাকাটিকে।

উন্নাওয়ে দুই দলিত কিশোরীর শেষকৃত্যের আগে করা পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় এলাকাটিকে।

সংবাদ সংস্থা
উন্নাও শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:২৯
Share: Save:

উন্নাওয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত ২ কিশোরীর শরীরে আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া যায়নি, তবে বিষপ্রয়োগের প্রমাণ মিলেছে। জানাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।

শুক্রবার সকালেই কড়া পুলিশি ঘেরাটোপে এবং পরিবারের উপস্থিতিতে ২ কিশোরীর দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়। তবে শেষ মুহূর্তে তাদের বাবা মৃতদেহ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সৎকারের প্রক্রিয়া সাময়িক ভাবে পিছিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর পরে শুক্রবার পরিবারের বাকি সদস্যদের উপস্থিতিতে তা সম্পন্ন হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিষপ্রয়োগের প্রমাণ পেলেও এখনও ২ কিশোরীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত নন তাঁরা। পরবর্তী পর্যায়ের তদন্তের জন্য ভিসেরা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। কানপুরের হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা চলছে একজনের। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৬ জন চিকিৎসকের মেডিক্যাল টিম দেখাশোনা করছে তাঁর।

বুধবার উন্নাওয়ে এক দলিত পরিবারের চাষের ক্ষেতে অচেতন অবস্থান পাওয়া যায় ৩ কিশোরীকে। এদের ৩ জনের বয়স ১৩ থেকে ১৭-র মধ্যে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ২ জনেরই মৃত্যু হয়। ১৭ বছরের কিশোরী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার রাতেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মৃত কিশোরীদের সৎকার করতে চেয়েছিল। শুরু করে দেওয়া হয়েছিল মাটি খোঁড়ার কাজ। কিন্তু, পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় মানুষজন মাটি কাটার যন্ত্রের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা বলেন, সূ্র্য ডোবার পর সৎকার তাঁদের রেওয়াজ নয়। বিক্ষোভের জেরে রাতে সৎকারের কাজ বন্ধ রাখা হলেও পরে শুক্রবার সকালেঅ কড়া পুলিশি ঘেরাটোপে শেষকৃত্যের কাজ সম্পন্ন করা হয় ২ কিশোরীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE