— প্রতীকী ছবি।
আরও পণের দাবি না মেটানোয় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে গর্ভস্থ ভ্রুণের মৃত্যু। স্ত্রীকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তাৎক্ষণিক তিন তালাক দেওয়ারও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বান্দায়। স্বামী-সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
২০২০ সালের নভেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। স্ত্রীর দাবি, বিয়ের সময় তাঁর বাবা নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে পণ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বামীর পরিবার তাতে সন্তুষ্ট ছিল না। স্বামী, শাশুড়ি-সহ অন্যান্যরা নিয়মিত ভাবে বধূর উপর অত্যাচার চালিয়ে যেতেন পণ হিসাবে আরও টাকার দাবিতে। বাধ্য হয়ে আরও কিছু পণ দিতে হয় স্ত্রীর বাবাকে। কিন্তু তাতেও চাহিদা মেটেনি স্বামীর পরিবারের। নতুন দাবি, আরও ২ লক্ষ টাকা চাই।
স্ত্রীর দাবি, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা স্বামীর আবার বিয়ে দিতে চাইছিলেন। কিন্তু তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সেই পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করা হয়। সেই রাগেই মহিলাকে মারধর করা হতে থাকে নিত্য। মারের চোটে গর্ভস্থ ভ্রুণের মৃত্যু হয়। কিন্তু তাতেও রাগ না মেটায় রাস্তায় টেনে বার করে স্ত্রীকে তাৎক্ষণিক ‘তিন তালাক’ দেন স্বামী বলে অভিযোগ। এসএইও মনোজকুমার শুক্ল জানিয়েছেন, মহিলার স্বামী এবং পরিবারের ছ’জনের বিরুদ্ধে তিন তালাক আইন, খুনের চেষ্টার পাশাপাশি একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy