প্রতীকী চিত্র।
পুলিশ হেফাজতে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগেই জেলের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক। গুরুতর যখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আলিগড়ের বাসিন্দা বছর ২০-র গৌরবের বিরুদ্ধে গ্রামের এক মেয়েকে ‘অপহরণ’-এর অভিযোগ উঠেছিল। মেয়েটির বাবা এবং অন্যান্যরা সেই অভিযোগ তুলে গৌরবের বাড়িতে চড়াও হয়েছিলেন। মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে ‘অভিযুক্ত’ যুবককে।
মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় তাঁদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। গ্রামের প্রধান এবং আরও পাঁচ জন মিলে গৌরবকে মারধর করে। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। লক আপে তাঁর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করা হয়। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই গত ৯ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন গৌরব।
আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি গৌরবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। বৃপস্পতিবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ এবং গ্রাম প্রধানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন মৃতের মা। তিনি বলেন, ‘‘লক আপে আমার ছেলেকে মেরেছে পুলিশ। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে এমন অত্যাচার করায় অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’’
ঘটনার পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইন্সপেক্টর যতেন্দ্র প্রতাপ এবং তদন্তকারী অফিসার গয়া প্রসাদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাম প্রধান সাধু শ্যাম সিংহ এবং মেয়ের বাবা বীরপালের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আলিগড় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy