দিনদুয়েক আগে স্ত্রীকে খুন করেছিলেন যুবক। তার পর সেই খুনকে আত্মহত্যা প্রমাণ করতে দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমার স্বামী নির্দোষ’! কিন্তু শেষরক্ষা হল না। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ওই ঘটনার তদন্তে শেষমেশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবতীর নাম সুষমা দ্বিবেদী। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁর স্বামী রোহিত দ্বিবেদীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। প্রয়াগরাজে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন ওই দম্পতি। শুক্রবার বিকেলে ঘর থেকেই সুষমার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে রোহিতের চিৎকার শুনে সকলে গিয়ে দেখেন, সুষমা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। শুধু তা-ই নয়, অস্ত্রটি তখনও তাঁর গলায় বিঁধে ছিল। সঙ্গে দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা ছিল, ‘‘আমি পাগল। আমার স্বামী নির্দোষ।’’
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা মনে হলেও পরে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। রোহিতের বয়ানেও বেশ কিছু অসঙ্গতি ছিল। তা ছাড়া, দেওয়ালে রক্ত দিয়ে লেখা থাকলেও নিহতের হাতে রক্ত ছিল না। এর পরেই রোহিতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেন ওই যুবক। পুলিশের দাবি, জেরায় রোহিত জানিয়েছেন, ২০২০ সালে বিয়ে হলেও নিঃসন্তান ছিলেন তাঁরা। তা নিয়ে ঝগড়া হতে হতে দম্পতির বৈবাহিক সম্পর্কও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। বনিবনা না হওয়ায় শেষমেশ স্ত্রীকে খুন করেন তিনি।