Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

যোগীর দাবি খারিজ করে শিশু ফেরাল হাসপাতাল

পরিস্থিতি সামলাতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছে রাজ্য সরকার। তবে কয়েকটি চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি কাউকে। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তও করা হয়নি।

শোকার্ত: মৃত শিশুর দেহ কোলে বেরিয়ে আসছেন এক আত্মীয়। রবিবার গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজে। ছবি: এএফপি।

শোকার্ত: মৃত শিশুর দেহ কোলে বেরিয়ে আসছেন এক আত্মীয়। রবিবার গোরক্ষপুরের বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজে। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
গোরক্ষপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১৬
Share: Save:

জ্বর নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল ছোট মেয়েটি। উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবীর গ্রাম থেকে বাবা ভিখারি যাদব তাঁর মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। কিন্তু হাসপাতালে ঠাঁই হয়নি শিশুটির।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও এই হাসপাতালই এলাকার মানুষের চিকিৎসার ভরসা। কয়েক হাজার মানুষ রোজ এখানে চিকিৎসা করান। কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে ভিখারির পরিবারকে হাহাকার করতে দেখা গিয়েছে আজ। মায়ের কোলে কেঁদে চলেছে অসুস্থ শিশুটি। আর তার বাবার অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী তিন দিন এখানে জায়গা মিলবে না। চিকিৎসা করাতে হলে সোজা চলে যান লখনউয়ে। অসহায় পরিবারটি মেয়েটিকে নিয়ে কোথায় যাবে, ভেবে পাচ্ছে না।

পরিস্থিতি সামলাতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছে রাজ্য সরকার। তবে কয়েকটি চ্যানেলে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি কাউকে। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তও করা হয়নি। গত রাতেও হাসপাতালে লোডশেডিং হয়ে যায়। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রসব হয়েছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: কোপে ‘নায়ক’ ডাক্তারই

তবে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চিন্তিত, সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আর এনসেফ্যালাইটিসে শনিবার ১১ জন ও রবিবার ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অসমর্থিত সূত্রের খবর। (রবিবার আনন্দবাজারের কিছু সংস্করণে এনসেফ্যালাইটিসকে ‘জলবাহিত’ বলা হয়েছিল, যা ঠিক নয়। এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE