চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, রক্তমাংসের শিশু নয়, বরং রং মাখানো প্লাস্টিকের পুতুল। — নিজস্ব চিত্র।
গত ছ’মাস ধরে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়মিত যাতায়াত করেন ৪০ বছরের মহিলা। আত্মীয় থেকে পড়শি— সকলে জানতেন, তিনি ‘সন্তানসম্ভবা’। অবশেষে একটি শিশুর জন্ম দেন ওই মহিলা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, শিশুটি রক্তমাংসের নয়, বরং প্লাস্টিকের একটি পুতুল। তাতে রং মাখানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ার বাধপুরা থানার অন্তর্গত এলাকার ঘটনা। ১৮ বছর আগে বিয়ে হয় মহিলার। সন্তান হয়নি। সেই নিয়ে রোজ খোঁটা দিতেন আত্মীয়, পড়শিরা। বিরক্ত হয়ে সন্তানধারণের ‘অভিনয়’ করেন।
গত ছ’মাস ধরে নিয়মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যেতেন মহিলা। দিন কয়েক আগে জানান, তাঁর পেটে ব্যথা হচ্ছে। এর পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটিকে কাপড়ে জড়িয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় পরিবার। চিকিৎসকরা জানান, পুরনো প্লাস্টিকের পুতুলে রং করা হয়েছে। মহিলার এক্স-রে ও অন্য রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকরা। জানান, ওই সব রিপোর্টও ভুয়ো। মেডিক্যাল সুপার হর্ষিত জানিয়েছেন, ওই মহিলা পেটের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতেন। সন্তানসম্ভবা তিনি কখনওই ছিলেন না। ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘‘বিয়ের পর বহু বছর কেটে গেলেও মা হতে পারেননি মহিলা। বন্ধ্যত্ব নিয়ে খোঁটার কারণে মিথ্যে গল্প রটিয়েছিলেন তিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy