ছবি: টুইটার
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আটকে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও আরও একটি সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পুলিশ গভীর রাত পর্যন্ত আটকে রাখলেও শেষে লখিমপুরের জন্য রওনা হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
লখনউ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা লখিমপুরের ঘটনার পরেই ঘোষণা করেন তিনি সেখানে যাবেন। তার পরেই রাতে খবর পাওয়া যায়, তাঁকে আটকে দিচ্ছে যোগীর পুলিশ। কথা ছিল সোমবার আক্রান্ত কৃষক পরিবারগুলির সঙ্গে তিকুনিয়াতে দেখা করবেন প্রিয়ঙ্কা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর বিমানবন্দর থেকে কউল হাউজ অর্থাৎ লখনউয়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে তাঁকে আটকে দেওযা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা দীপেন্দর সিংহ হুডা, অনুরাধা মিশ্র ও প্রমোদ তিওয়ারি।
রাতেই প্রিয়ঙ্কার বাড়ির সামনে স্লোগান ওঠে। তার আগেই নাকি প্রিয়ঙ্কার বাড়ি ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটা গৃহবন্দি করা নয়, তবে আপাতত ঘটনাস্থলে কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে যেতে দেওয়া হবে না, তাই এই সিদ্ধান্ত। প্রিয়ঙ্কার গাড়ির সামনে কার্যত দাঁড়িয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে বচসাও বাঁধে।
অন্য দিকে, এই ধরনের আর কোনও ঘটনা এড়াতে আপাতত লখিমপুর খেরিতে পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। উল্লেখ্য, সোমবারই উত্তরপ্রদেশে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা রয়েছে তৃণমূলের। সেই দলে থাকবেন পাঁচ সাংসদ। সোমবারও হয়ত এই দল আক্রান্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না। কারণ পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি যতক্ষণ না শান্ত ও স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy