আহত তরুণকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত ছবি।
রেললাইনের ধারে জবরদখল সরাতে এসেছিল পুলিশ। তা করতে গিয়ে এক সব্জি বিক্রেতার ওজন মাপার বাটখারা রেললাইনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল তারা। তড়িঘড়ি সেটা কুড়োতে যান তরুণ সব্জি বিক্রেতা। সে সময়ই দ্রুতগামী ট্রেনের ধাক্কায় পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। তাঁর পা কেটে বাদ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে। অভিযোগের তির সে রাজ্যের পুলিশের দিকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেললাইনের ধারের জবরদখল সরানোর জন্য বিশেষ অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। সে সময় কিছু দোকানদারের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। পুলিশ দোকানগুলিকে ভেঙে তুলে দিতে চাইছিল।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কানপুরের কল্যাণপুর অঞ্চলের বাসিন্দা আঠারো বছরের আরসালান, কানপুর রেলস্টেশনের কাছে জিটি রোডের ধারে অনেক দিন ধরেই সব্জি বিক্রি করেন। পুলিশ অন্য জবরদখলকারীদের মধ্যে তাঁকেও উঠে যেতে বলে। আরসালান উঠে যাওয়ার জন্য সময় চেয়েছিল। পুলিশ আধিকারিকরা সময় দিতে রাজি হননি। অভিযোগ, এক কনস্টেবল তাঁর বাটখারাটি সামনের রেললাইনে ছুড়ে ফেলে দেন। দৌড়ে গিয়ে বাটখারাটি তুলতে গিয়েছিলেন ওই তরুণ। কিন্তু উল্টো দিক থেকে দ্রুতগামী ট্রেন আসছে খেয়াল করেননি। ট্রেনের ধাক্কায় পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। রেললাইনে শুয়েই কাতরাতে শুরু করেন তিনি। পরে তাঁকে পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশই। ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশও। কানপুরের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বিজয় ধুল জানিয়েছেন, পুলিশ যে ‘অমানবিক’ কাজ করেছে, তাকে কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না। অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy