ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করার কয়েক দিনের মধ্যেই হয়েছিল প্রথম দুর্ঘটনা। এর পর গত দু’মাসে ৫ বার ‘বেলাইন’ হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই পরিস্থিতিতে উচ্চগতির এই ট্রেনটির যাত্রাপথের দু’ধারে বেড়া বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। যার জন্য আনুমানিক খরচ ২৬৪ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বই থেকে গান্ধীনগরগামী সেমি-হাইস্পিড ট্রেনটি উদভাদা এবং ভাপি স্টেশনের মধ্যে ধাক্কা মারে একটি গরুকে। পশ্চিম রেলের আধিকারিক সুনীল ঠাকুর জানান, দুর্ঘটনার ফলে ট্রেনের সামনের প্যানেলে ছোট ফাটল ধরেছে। এর পর শুক্রবার রাতে মুম্বইয়ের চার্চ গেটে পশ্চিম রেলের সদর দফতরের সামনে সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার অশোককুমার মিশ্র বলেন, ‘‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ ৬২০ কিলোমিটার। তার পুরোটার দু’ধারেই বেড়া বসানো হবে।’’
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন। তার পর চার দফায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ধাক্কা মেরেছে গরু-মোষকে। তা ছাড়া গত ৮ নভেম্বর বিকেলে গান্ধীনগর স্টেশন থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের আনন্দ স্টেশনের কাছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দু’মিনিটের সামান্য বেশি সময়েই ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। সেই ট্রেনে যাত্রা করা অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক বলেও পশ্চিম রেল সূত্রের খবর। কিন্তু বসতিপূর্ণ এলাকায় দ্রুতগতির এই ট্রেন চালানো ঝুঁকির বলে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই। বিপুল খরচ ও প্রচারের পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ওই ‘আধুনিক ট্রেন’ বাস্তব পরিস্থিতিতে কেন বার বার বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বন্দে ভারতের যাত্রা ‘নিরাপদ’ করে তুলতে আরও ২৬৪ কোটি টাকা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিলেন রেল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy