Advertisement
E-Paper

গোটা জোশীমঠকে বসবাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করল উত্তরাখণ্ড সরকার

জোশীমঠ যে আর বসবাসের উপযুক্ত নয়, তা আগেই বুঝেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। রবিবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল। উত্তরাখণ্ড সরকার নোটিস দিয়ে জানাল, ‘বসবাসের জন্য নিরাপদ নয়’ জোশীমঠ।

জোশীমঠের একটি জায়গায় নেমেছে ধস।

জোশীমঠের একটি জায়গায় নেমেছে ধস। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩০
Share
Save

হিমালয়ের কোলে ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ জোশীমঠের বিভিন্ন বাড়ি, হোটেলে গত ২ জানুয়ারি থেকেই ফাটল ধরতে দেখা গিয়েছিল। সেই ফাটল ক্রমশ চওড়া হয়েছে। ভেঙে পড়েছে পরিত্যক্ত মন্দির। আতঙ্কে প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন সেখানকার ৬০০টি পরিবার। জোশীমঠ যে আর বসবাসের উপযুক্ত নয়, তা আগেই বুঝে গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। রবিবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল মাত্র। উত্তরাখণ্ড সরকার রীতিমতো নোটিস দিয়ে জানিয়ে দিল, ‘‘বসবাসের জন্য উপযুক্ত এবং নিরাপদ নয়’’ জোশীমঠ। একই সঙ্গে ‘বিপর্যয়গ্রস্ত’ তকমাও দেওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডের এই শহরকে।

রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব রঞ্জিতকুমার সিংহ জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, জোশীমঠ পৌর অঞ্চলের সব এলাকাকেই ‘বিপর্যস্ত’ তকমা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞদের একটি দল বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে ওই অঞ্চলে। তাই তড়িঘড়ি ওখান থেকে সব বাসিন্দাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

রাজ্যের সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গোটা এলাকাকে ২টি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। নতুন করে ওই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একটি বড় বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। এই বাহিনী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয়ে যাবে। চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন, আকস্মিক বিপর্যয়ে অনেক বাসিন্দাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই সরকারের তরফে মনোবিদদের একটি দলকে পাঠানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ৭টি হোটেল ভাড়া করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। যে সব বাসিন্দা বাড়ি ছাড়তে চাইছেন, তাঁদের বাড়ির কাছেই তুলনায় নিরাপদ স্থানে রাখা হচ্ছে। কিন্তু ফাটল ধরা এলাকায় কাউকেই থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।

সরকারের একটি সূত্রের খবর, জোশীমঠকে ‘বিপর্যয়গ্রস্ত’ এলাকা ঘোষণা করার ফলে, বাসিন্দারা বিমার টাকা বা অন্যান্য সুযোগসুবিধা পেতে পারবেন। এরই মধ্যে রবিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামিকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জোশীমঠের কীভাবে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জোশীমঠের বাসিন্দাদের জন্য সব রকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Joshimath Disaster Joshimath land subsidence Uttarakhand

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}