Advertisement
১১ মে ২০২৪
Coronavirus

জুলাইয়ে টিকা পরীক্ষা দেশে

করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের কর্মযজ্ঞে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত ১২০টি গবেষণা স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০৪:৩৮
Share: Save:

প্রাণিদেহে পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছিল আগেই। এ বার মানবশরীরে সেই সম্ভাব্য করোনা-প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক’।

জুলাই মাসের মধ্যেই ওই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। তবে ঠিক কত জনের উপরে সেই পরীক্ষা চলবে, তা জানানো হয়নি। সম্ভাব্য প্রতিষেধকের নাম রাখা হয়েছে ‘কোভ্যাকসিন’।

করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের কর্মযজ্ঞে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্তত ১২০টি গবেষণা স্বীকৃতি পেয়েছে। তার মধ্যে ভারতীয় সংস্থা রয়েছে প্রায় আধ ডজন। যেমন, পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। ওই সংস্থার এক কর্তা সম্প্রতি জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ‘চ্যাডক্স-১ এনসিওভি-১৯’ ভ্যাকসিনটি জুলাইয়েই দেশে তৈরি শুরু করতে পারেন তাঁরা। এ ভাবে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে গবেষণা করছে কয়েকটি দেশীয় সংস্থা।

তবে কোভ্যাকসিন সম্পূর্ণ ভাবে ভারতে তৈরি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর মতো সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে গবেষণা চালিয়েছে সংস্থাটি। দেশে পাওয়া যাচ্ছে, এমন করোনাভাইরাস স্ট্রেনকে পরীক্ষাগারে আলাদা করে, তার ক্ষমতা কমিয়ে বানানো হয়েছে কোভ্যাকসিন। ‘ভারত বায়োটেক’ জানিয়েছে, আগের ফলাফলের ভিত্তিতে দু’টি পর্যায়ে মানবদেহে সম্ভাব্য প্রতিষেধক পরীক্ষার অনুমতি তাদের দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ‘ডিসিজিআই’। সংস্থার দাবি, কোভ্যাকিসন কতটা কার্যকরী, তা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রাথমিক লক্ষ্য হল, প্রতিষেধকটি কতটা নিরাপদ, তা নিশ্চিত করা।

‘ভারত বায়োটেক’ ছাড়াও ‘জাইডাস ক্যাডিলা’, ‘মিনভ্যাক্স-এর’ মতো দেশীয় সংস্থা এই মুহূর্তে প্রতিষেধক সংক্রান্ত গবেষণায় এগিয়ে। ইতিমধ্যে মার্কিন ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ জানিয়েছে, তাদের প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে বিশ্বের সব মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। ২০২১ সালের মধ্যে ১ কোটিরও বেশি ডোজ় উৎপাদন ও পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রতিষেধক আবিষ্কারের পরে কী ভাবে তা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছনো হবে, সে বিষয়ে আজ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে মূলত চারটি বিষয়কে মাথায় রেখে একটি রূপরেখা তৈরি হয়েছে।

১) চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স-সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা প্রথমে প্রতিষেধক পাবেন।

২) এর পরে যে কোনও এলাকায়, যে কেউ এই প্রতিষেধক নিতে পারবেন। এলাকা বিশেষে বাছবিচার করা চলবে না।

৩) প্রতিষেধকটি সর্বজনীন এবং তার খরচ যেন সকলের আয়ত্তের মধ্যে হয়।

৪) প্রতিষেধক তৈরি থেকে শুরু করে টিকা প্রদান— পুরো বিষয়টিতে যেন প্রযুক্তির মাধ্যমে কড়া নজর রাখা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19 Vaccination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE