ছবি: সংগৃহীত।
দেশের সব ভোটারকে নির্বাচনযজ্ঞে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। নিজেদের তথ্য যাচাইয়ের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য রবিবার ভোটারদের ফের আহ্বান জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। নির্বাচন পদ্ধতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হল ভোটার তালিকা। তা নির্ভুল করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা।
এ দিন দেশ জুড়ে ‘ইলেক্টরস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম (ইভিপি) বা নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। দিল্লির নির্বাচন সদনে এর সূচনা করেন অরোরা ও লাভাসা। সেই সঙ্গে এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে দেশের ৩২টি মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) এবং ৭০০টি জেলা নির্বাচন অফিসারের (ডিইও) দফতরেও।
এই কর্মসূচিতে দেশের ৯১ কোটি ভোটার নিজেরাই ভোটার তালিকায় থাকা নিজেদের তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন। পরিবারের অন্যদের তথ্যও ঠিকঠাক আছে কি না, দেখে নিতে পারবেন সেটাও। সেই যাচাই পর্বে প্রামাণ্য নথি অনলাইনে আপলোড করতে হবে ভোটারকে। সেই তালিকায় রয়েছে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, আধার কার্ড, রেশন
কার্ড, সরকারি ও আধা-সরকারি সংস্থার কর্মচারীর প্রদত্ত সচিত্র প্রামাণ্য নথি, কৃষকদের প্রদত্ত সচিত্র প্রামাণ্য নথি, ব্যাঙ্কের পাশবই, আরজিআইয়ের স্মার্ট কার্ড। সঙ্গে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে প্যান কার্ড, জল, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস সংযুক্তির সাম্প্রতিক বিলও। প্রামাণ্য নথি হিসেবে অনলাইনে এগুলোও আপলোড করতে পারবেন ভোটার।
ন্যাশনাল ভোটারস সার্ভিস পোর্টাল (https://www.nvsp.in) এবং ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার তালিকা যাচাই করা যাবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) দফতরের ওয়েবসাইটে থাকবে ইভিপি সংক্রান্ত লিঙ্কও। অনলাইনের পাশাপাশি ব্লক বা ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন (ইআরও) অফিসে ভোটার সহায়তা কেন্দ্রও থাকছে। সেখানে গিয়ে ভোটার নিজের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। কোথাও ভুল থাকলে তা অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধনও করা যাবে। অনলাইনে জমা দেওয়া প্রামাণ্য নথি বাড়িতে গিয়ে যাচাই করবেন বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও)।
নির্বাচন কমিশন এই কর্মসূচি শেষ তারিখ ধার্য করেছে ১৫ অক্টোবর। পশ্চিমবঙ্গে অক্টোবর থেকেই উৎসবের সূচনা হবে। ফলে সেই সময় এই কাজ আদৌ কতটা করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পুজোর বিষয়ে সবিস্তার তথ্য নির্বাচন সদনকে জানিয়েছে রাজ্যের সিইও দফতর। তবে উৎসবের সময়ে ওই কর্মসূচির কী হবে, সেই বিষয়ে সিইও দফতরকে এখনও কিছু জানায়নি কমিশন।
এই কর্মসূচি কেন?
উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনার ব্যাখ্যা, প্রতি বারেই যথাসম্ভব নির্ভউল ভোটার তালিকা তৈরির জন্য সংশোধন প্রক্রিয়া চালানো হয়। এ বারেই প্রথম তাতে সরাসরি ভোটারদের যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি জানান, ইআরও-নেটে প্রায় ১৪ কোটি সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন সংক্রান্ত ফর্মের মধ্যে ৬.১২ কোটি ফর্ম এসেছিল সংশোধনের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy