কোনও রকমে হস্টেলে ফিরে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের কথা হস্টেল ইন-চার্জকে জানাতেই ছাত্রীটিকে শুনতে হয়েছিল তির্যক মন্তব্য। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগের কথা বলতে গেলে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল— ‘স্নান সেরে, পোশাক বদলে নাও’এর মতো নিদান-বার্তা। রবিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের বি টেক ছাত্রীকে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া এফআইআরে উঠে এসেছে এমনই নানা তথ্য।
‘সার্ক’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির ছাত্রছাত্রীরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়শোনা করেন এবং যে প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি বিদেশ মন্ত্রকেরআওতায়— সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের চেষ্টা ঘিরে সারা দেশে শুরু হয়েছে শোরগোল। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবিতে উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এর মধ্যেই ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি নির্মীয়মান এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেয় চার অভিযুক্ত। এরপর তাঁকে গণধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়। জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রে অভিযোগের মূল আঙুল উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক নিরাপত্তাকর্মী, এক কর্মী এবং দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। অতীতে বিভিন্ন নম্বর থেকে ওই ছাত্রীকে প্রায়ই কুরুচিকর টেক্সট মেসেজ করা হত বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অভিযুক্তেরা ছাত্রীর আপত্তিকর ছবিও বানিয়েছিল।
রবিবার সন্ধ্যায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর কোনও রকমে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ফিরে এসে পুরো বিষয়টি জানালে, হস্টেল ইন-চার্জ ঘটনায় দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ছাত্রীর। সেই সঙ্গে ওই ইন-চার্জ মন্তব্য করেন, ‘‘মেয়েদের আজকালএকাধিক প্রেমিক থাকে,’’— পুলিশে এমনই জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। এ ব্যাপারে অঙ্কিত চৌহান নামে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিতকরা যাবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)