বাইকেই গোটা সংসার। ছবি: টুইটার
সাত জনের পরিবার। একটাই বাইকে উঠেছেন তাঁরা সবাই। সাত জনকে নিয়েই দিব্যি চলছে বাইক। কারও মাথায় হেলমেটও নেই। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। যা নিয়ে চর্চাও চলছে বিস্তর।
সুপ্রিয়া সাহু নামের এক আইএএস অফিসার এই ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘আমি বাক্রুদ্ধ’। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বাইকে চালক এক জন বাচ্চাকে নিয়ে বসে আছেন। বাইকে ওঠার জন্য আরও দুই মহিলা অপেক্ষা করে আছেন, তাঁদের সঙ্গে আরও তিন শিশু। প্রথমে দেখে মনে হতে পারে এত জন হয়তো বাইকে ধরবেন না। কিন্তু এক এক করে সকলেই ঠিক বাইকটিতে উঠে পড়েন।
Speechless pic.twitter.com/O86UZTn4at
— Supriya Sahu IAS (@supriyasahuias) August 30, 2022
চালকের সামনে এক জন শিশু ছিলই, তার সঙ্গে উঠিয়ে দেওয়া হয় আরও এক শিশুকে। তার পর চালকের ঠিক পিছনে ওঠেন এক মহিলা, তাঁর কোলে উঠে বসে এক শিশু। তখনও পিছনে কিছুটা জায়গা ছিল। সেখানে উঠে বসেন আর এক মহিলা। তাঁর কোলেই বসে আর এক শিশু। এ ভাবে মোট সাত জন ওই বাইকে বসে পড়েন। তার পর নির্দ্বিধায় বাইক ছোটান চালক। চালক কিংবা ওই বাইকে চড়ে বসা বাকি ছ’জনের কারও মাথাতেই কোনও হেলমেট দেখা যায়নি।
ট্রাফিক নিয়ম অনুযায়ী, একটি বাইকে দু’জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ বসতে পারেন। দু’জনকেই পরতে হয় হেলমেট। ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ১২ বছরের কমবয়সি কেউ বাইকে চড়তেই পারে না। এই সমস্ত ট্রাফিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি একটি বাইকে সাত জন উঠেছেন হেলমেট ছাড়াই। সেই বাইক চলেওছে বিনা বাধায়। ভিডিয়োতে এমন কাণ্ড দেখে কার্যত আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলেছেন, বাইকের এই পরিবারটি নিজেদের জীবন নিয়ে খেলছেন। কেউ কেউ দাবি তুলেছেন, ওই চালকের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। কেউ আবার গ্রামে অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার দিকেও আঙুল তুলেছেন।
ওই একই ভিডিয়োতেই আবার দেখা গিয়েছে, উল্টো দিক থেকে অন্য একটি বাইক আসছে। তাতে চড়েছেন তিন জন, তাঁদেরও কারও মাথায় হেলমেট নেই। তা দেখিয়ে কেউ কেউ বলেছেন, ওই এলাকায় বাইকে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার কোনও বালাই নেই। এ ভাবেই বাইক নিয়ে রাস্তাঘাটে যাতায়াত করেন সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy