Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দিল্লি বিধানসভা

টেবিলে উঠে তাণ্ডব বিজেপি বিধায়কের

বিষয় দুর্নীতি। আর সে প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই ফের তেতে উঠল দিল্লি বিধানসভা।

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৬ ০৯:১০
Share: Save:

বিষয় দুর্নীতি। আর সে প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই ফের তেতে উঠল দিল্লি বিধানসভা।

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রচারে নেমেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে শীলা দীক্ষিতের সময়কার একাধিক দুর্নীতির তিনি বিশদে তদন্ত করাবেন। কিন্তু সরকারে আসার এক বছর কেটে যাওয়ার পরেও, দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ না করায় বিভিন্ন মহলে যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে কেজরী প্রশাসন।

আজ বিধানসভার অধিবেশনে গত কংগ্রেস সরকারের জলের ট্যাঙ্কারের দুর্নীতির তদন্ত শুরু না হওয়া নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়ক বিজেন্দ্র গুপ্ত। কেন এখনও তদন্ত শুরু হল না এ বিষয়ে সরকারের কাছে জবাবদিহি চান তিনি। কেজরীবাল বলেন, তাঁরা ক্ষমতায় আসতেই দিল্লি প্রশাসনের হাত থেকে দুর্নীতি দমন শাখার ভার নিজের হাতে তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুলিশ বা দুর্নীতি দমন শাখা কোনটাই হাতে না থাকায় তিনি আগের সরকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছা থাকলেও তদন্ত করতে পারছেন না। তবে এ-টুক বলেই থেমে থাকেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বিজেন্দ্রকে তিনি বলেন, ‘‘আমার হাতে দুর্নীতি দমন শাখা থাকলে আমি এক মাসের মধ্যে আপনার স্ত্রীকে জেলে পাঠাতাম!’’

এই কথা শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন বিজেন্দ্র। লাফিয়ে টেবিলে উঠে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। তবে আপ বিধায়কেরা সেই চেঁচামেচিতে বিশেষ বিচলিত হননি। বরং দেখা যায়, সেই দৃশ্য দেখে হেসে গড়িয়ে পড়ছেন কেজরীবাল ও আপ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া। কেজরীবালের অভিযোগ, বিজেপি ও কংগ্রেস দু’দল হল আসলে পতি-পত্নী। দুর্নীতিতে পরস্পরের অংশীদার। একে অপরকে বাঁচাতেই এ ভাবে দিল্লি সরকারের হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, পুরোটাই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। ফলে চাইলেও তদন্ত শুরু করতে পারছে দিল্লি সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Vijender Gupta delhi assembly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE