জল দিচ্ছে না পাকিস্তান। আর তার ফলে সীমান্তের এ পারে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার কারনায় চাষবাস প্রায় বন্ধের মুখে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে খরা-পরিস্থিতি।
ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কাশ্মীরের এই গ্রামগুলিতে চাষের জল আসে মূলত পাকিস্তান থেকে। জল দেওয়া-নেওয়া নিয়ে প্রতি বছর সীমান্ত এলাকায় দু’দেশের সামরিক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে বৈঠক বসে। কিন্তু এ বছর ছেদ পড়েছে সেই ঐতিহ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা জাহুর আনজুমের কথায়, ‘‘পাকিস্তান কেন জল বন্ধ রেখেছে জানি না। চাষবাস সব শিকেয় উঠেছে। দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’ কারনা ছাড়াও টিটওয়াল, দ্রাগাড়, সইদপোরার মতো আরও অনেক গ্রাম ওই জলের উপরে নির্ভরশীল। পাকিস্তান আগে কখনও এমনটা করেনি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই ধরনের জলসঙ্কট অবশ্য নতুন নয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের কৃষ্ণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনকে ঘিরে কম জলঘোলা করেনি পাকিস্তান। তাদের অভিযোগ ছিল, এই প্রকল্পে সিন্ধু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে রফা করতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠায় ইসলামাবাদ। তবে তাদের দাবি পূরণ হয়নি। কূটনীতিকদের একাংশের মতে, সেই ক্ষোভেই এ বার চাষের জল বন্ধ করেছে পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy