Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Viral Video

দ্রুত না গেলে বাঁচানো যাবে না! অসুস্থ বাবাকে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়েই হাসপাতালে ছ’বছরের খুদে

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসুস্থ ব্যক্তির পরিবার অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য সরকারি হাসপাতালে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার।

Viral Video of a 6 year old boy takes father to hospital in Madhya Pradesh.

জেলা প্রশাসন তরফে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছবি: টুইটার।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:০২
Share: Save:

অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়েই অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল ছ’বছরের পুত্রসন্তান। মধ্যপ্রদেশের সিংগ্রৌলীর ঘটনা। এই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছাউনি দেওয়া ঠেলাগাড়ির উপর শুয়ে রয়েছেন এক অসুস্থ ব্যক্তি। পাশে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন সেই ব্যক্তির স্ত্রী-ও। আর পিছন থেকে সেই ঠেলাগাড়ি ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অসুস্থ ব্যক্তির খুদে সন্তান। হাসপাতালের সামনেই সেই ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসুস্থ ব্যক্তির পরিবার অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য সরকারি হাসপাতালে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি। এ দিকে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার। অগত্যা অসুস্থ স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর তাঁকে ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী। গাড়ি ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ভার কাঁধে তুলে নেয় ছ’বছরের সন্তান।

এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই অনেক ব্যবহারকারী টুইটারে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জেলা প্রশাসন তরফেও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Viral Video Viral Videos Madhya Pradesh Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE