Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Gyanvapi Mosque

Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটির ৫১ যুক্তি বারাণসী আদালতে, ফের শুনানি আগামী সপ্তাহে

২০২১-এ পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ওজুখানা ও তহ্‌খানায় দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে পুজোর অনুমতি চান বারাণসী দায়রা আদালতে।

জ্ঞানবাপী মসজিদ।

জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বারাণসী শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২ ১৫:৪৮
Share: Save:

জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার ফের শুনানি শুরু হল বারাণসী জেলা আদালতে। ৩৫ দিনের বিরতির পর। গত ৩০ জুনের পর ফের সোমবার জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীর ম্যাজিস্ট্রেট এ কে বিশ্বেসের এজলাসে মুসলিম পক্ষের তরফে ৫১ দফা যুক্তি পেশ করা হয়। আগামী ১২ জুলাই মামলার ফের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।

‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র আইনজীবী অভয় নাথ সোমবার বারাণসী জেলা আদালতকে জানান, ব্রিটিশ জমানাতেও জ্ঞানবাপীর জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৬ সালে বারাণসীর আদালতে সেই আবেদন জানানো হলেও জ্ঞানবাপীতে নমাজের অধিকার বজায় থাকে ১৯৩৭ সালের রায়ে। ১৯৪২-এ ইলাহাবাদ হাই কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল।

পাশাপাশি মসজিদ কমিটির যুক্তি, এখন আদালতে দাবি উঠেছে, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের জমি কোনও দিনই ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল না। কিন্তু বছর খানেক আগে কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডর তৈরির জন্য মন্দির ট্রাস্ট মসজিদের সামনের জমি পেতে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গেই চুক্তি করেছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২১-এর অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করে। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেই গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। সোমবার শুনানি-পর্ব দু’পক্ষের আইনজীবী এবং আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষক-সহ মাত্র ৪০ জনের প্রবেশের অধিকার ছিল এজলাসে।

মুসলিম পক্ষের তরফে এ বিষয়ে বারাণসী আদালতের ১৯৯৭ সালের নির্দেশের প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে সোমবার। ১৯৯১-এ সোমনাথ ব্যাস এবং রামরঙ্গ শর্মা নামে দুই আবেদনকারী জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের অধিকারের দাবিতে একটি মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১৯৯১-এর ধর্মীয় উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী জ্ঞানবাপী মসজিদ আবেদনকারী পক্ষকে (হিন্দু) দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বর্তমান বন্দোবস্তই বহাল থাকবে।

নরসিংহ রাওয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় পাশ হওয়া ওই আইনের চার নম্বর ধারা বলছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের আগে থেকে দেশে যে সব ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে, তার চরিত্র কোনও ভাবেই পাল্টানো যাবে না। যদিও হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন আদালতকে জানান, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাঁর দাবি, ১৯৪৭ সালের পরেও শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পূজার্চনার প্রমাণ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE