প্রতীকী ছবি।
গুলাম নবি আজাদের মতো কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারা বলেছিলেন, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দল যেখানে বলবে, সেখানেই তাঁরা প্রচারে যেতে তৈরি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ‘তারকা প্রচারক’-এর তালিকায় প্রায় কোনও বিক্ষুব্ধ নেতাকেই রাখা হল না।
আজ পশ্চিমবঙ্গে ২৭ মার্চের প্রথম দফার ভোটের জন্য কংগ্রেস ৩০ জনের তারকা প্রচারকের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে। সেই তালিকায় সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, তিন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ, ভূপেশ বাঘেল, অশোক গহলৌত, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের নাম রয়েছে। কিন্তু গুলাম নবি, আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারি বা কপিল সিব্বলের মতো ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের নাম নেই। যে ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে শুধু জিতিন প্রসাদ ও বিহারের অখিলেশ প্রসাদ সিংহের নাম আছে।
জিতিন জি-২৩ গোষ্ঠীতে থাকলেও পরে তাঁকেই এআইসিসি-তে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি আর ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ খোলেননি। ফলে তাঁর নাম থাকাটাই স্বাভাবিক বলে কংগ্রেস শিবির মনে করছে। গুলাম নবিরা নতুন করে জম্মুতে এককাট্টা হয়ে কংগ্রেসের দুরবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে এআইসিসি-র মঞ্চ থেকে বলা হয়েছিল, ওই নেতাদের উচিত বিধানসভা ভোটের প্রচারে যাওয়া। গুলাম নবিরা বলেছিলেন, দল দায়িত্ব দিলে তাঁরা তৈরি। তার পরেও তাঁদের নাম রাখা হল না কেন?
কংগ্রেস মুখপাত্র তথা তারকা প্রচারকদের অন্যতম পবন খেরা বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যের ভোটে দলের নেতাদের আলাদা আলাদা সময়ে পাঠানো হবে। বাংলায় তো মোদীজির কৃপায় আট দফায় ভোটগ্রহণ হবে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতারা প্রচারে যাবেন।’’ কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, জি-২৩-র বিক্ষুব্ধ সদস্যদের তারকা প্রচারক না করা হলেও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সচিন পাইলটকে রাখা হয়েছে। হরিয়ানার বিক্ষুব্ধ নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা তালিকায় না থাকলেও তাঁর ছেলে দীপেন্দ্রর নাম রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের চাহিদা মেনে মহম্মদ আজহারউদ্দিন, নভজ্যোৎ সিংহ সিধুকেও রাজ্যে প্রচারে পাঠানো হবে। তবে সনিয়া নিজে শারীরিক অসুস্থার জন্য কতখানি প্রচারে যেতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy