—প্রতীকী ছবি।
লুট হওয়া অস্ত্র এখানে জমা দিতে পারেন।
১১ মাস ধরে হিংসাদীর্ণ মণিপুরে নির্বাচনী প্রচারসজ্জা নেই বললেই চলে। এর মধ্যেই নজর কাড়ে ওই নোটিস। একে অবশ্য নোটিস না বলে বলা যায় ‘করুণ আহ্বান’! জায়গায় জায়গায় বাক্স রাখা আর তাতে আহ্বানটি সাঁটা।
ওই আহ্বানে কতটা সাড়া মিলল, সে পরিসংখ্যান এখনই পুলিশ প্রকাশ করছে না। তবে ১১ মাসে একাধিক বার বিভিন্ন থানা এবং সেনার অস্ত্রাগারে জঙ্গিরা হানা দিয়ে যে বিপুল অস্ত্র লুঠ করেছে, তার বেশির ভাগই এখনও পাওয়া যায়নি। বরং তা কাজে লাগিয়েই মেইতেই বনাম কুকিদের যুদ্ধ চলছে বহু জায়গায়। লুঠ হওয়া অস্ত্রের সন্ধানে গত এগারো মাস ধরে সেনা-পুলিশের বিস্তর অভিযানে অল্পই উদ্ধার হয়েছে।
লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র যে মেইতেই বা কুকি-জো জনগোষ্ঠীর মানুষদের কাছে রয়েছে, তা হিসেবে যেমন স্পষ্ট, তেমনই পারস্পরিক অভিযোগেও ধরা পড়ে। এ দিকে, সেনার বিহার রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন মণিপুরের জো-কুকি জনগোষ্ঠীর মানুষ। চব্বিশ ঘণ্টার বন্ধে একাধিক মিছিল, সভা-সমিতিতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের বিরোধিতার পাশাপাশি বিহার রেজিমেন্টের নাম করে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারী জনতা। অভিযোগ, সেনা জওয়ানেরাই মেইতেই জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে কুকি এলাকায় অভিযান চালায়। এরাই মর্টার ছুড়ে দুই জো-কুকি গ্রামরক্ষীকে হত্যা করে। সোমবার মণিপুরে নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে ইম্ফলেই তাঁর সফর সীমিত থাকছে। ইনার মণিপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী বসন্তকুমার সিংহের জন্য তিনি ভোট চাইবেন। তবু সবাই তাকিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে নতুন কী ব্যাখ্যা দেন, তা শোনার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy