E-Paper

আয়ুষ্মান ভব কর্মসূচি কেন্দ্রের, বাদ পশ্চিমবঙ্গ

বিরোধীদের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত ৪০ শতাংশ মানুষ ওই কার্ড পেয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:২১
Mansukh Mandaviya

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। —ফাইল চিত্র।

দেশের নাগরিকেরা যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির সুফল পান, তার জন্য আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘আয়ুষ্মান ভব’ কর্মসূচি। কিন্তু আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় পশ্চিমবঙ্গ না থাকায় ওই প্রকল্পগুলির সুফল থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ।

আগামিকাল ‘আয়ুষ্মান ভব’ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। সেই দিন থেকে মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর জন্মদিন, ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশ জুড়ে বিশেষ সেবা সপ্তাহ পালনের লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যাতে রক্তদান, অঙ্গদান, আয়ুষ্মান মেলার আয়োজন করা হবে। যাঁদের নাম আয়ুষ্মান যোজনা তালিকায় নেই, তাঁরাও নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ গোড়া থেকেই আয়ুষ্মান যোজনা প্রকল্প গ্রহণ করেনি। সেই কারণে ওই কর্মসূচি থেকে বাদ গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ-দিল্লির মতো কিছু রাজ্য গোড়া থেকেই ওই প্রকল্পে যোগ দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বক্তব্য ছিল, তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প রয়েছে, সেই কারণে তারা আয়ুষ্মান পরিকল্পনায় অংশ নেবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার বক্তব্য, ‘‘আয়ুষ্মান যোজনায় কেন্দ্রের বরাদ্দ পাঁচ লক্ষ টাকা। গুজরাত সরকার যেমন আরও পাঁচ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত বিমার ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি কোনও ব্যক্তির আয়ুষ্মান যোজনায় পাঁচ লক্ষের বেশি অর্থ লাগে তখন সেই বাড়তি অর্থ দিয়ে দেয় রাজ্য সরকার।’’ স্বাস্থ্য কর্তাদের বক্তব্য, এতে রাজ্যের ভাঁড়ারে চাপও কম পড়ে। অন্য দিকে খরচের বোঝা বহন করতে হয় না রোগীর পরিবারকে। কিন্তু যে সব সরকার আয়ুষ্মান যোজনা নেয়নি, সেই সব রাজ্যের মানুষ এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘আয়ুষ্মান ভব’ কর্মসূচির মাধ্যমে মূলত আয়ুষ্মান কার্ড তৈরিতে জোর দেওয়া হবে। নেওয়া হয়েছে ‘আয়ুষ্মান আপকে দ্বার ৩.০’ কর্মসূচি। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ওই কার্ড করে দেওয়া হবে। হবে আয়ুষ্মান সভা, জনতাকে ওই প্রকল্পের সুবিধা বোঝানোর লক্ষ্যে। যক্ষ্মা ও সিকল সেল অ্যানিমিয়া রোগের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলা হবে।

বিরোধীদের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত ৪০ শতাংশ মানুষ ওই কার্ড পেয়েছেন। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসায় এখন ওই স্বাস্থ্য কার্ড বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ভোট নিশ্চিত করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mansukh Mandaviya Ayushman Bhava West Bengal Central Government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy