গুজরাতের অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার জায়গাটি ঘুরে দেখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখান থেকেই জানালেন, ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি পুড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণেই যাত্রীদের বাঁচানো যায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল এবং কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের শাহ বলেন, ‘‘বিমানটিতে ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি ছিল। তাপমাত্রা ছিল অত্যধিক। ফলে কাউকেই বাঁচানোর সুযোগ পাওয়া যায়নি।’’
মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য যাত্রীদের পরিবারের কাছে ডিএনএ নমুনা চেয়েছিল গুজরাত প্রশাসন। শাহ জানান, উদ্ধারকাজ প্রায় শেষ। বলেছেন, ‘‘আমি দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেছি। প্রায় প্রতিটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মৃতদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বিদেশি নাগরিক যাঁরা ছিলেন, তাঁদের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করব।’’
আরও পড়ুন:
শাহ জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষার কাজ যৌথ ভাবে করবে কেন্দ্রীয় এবং গুজরাতের রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাব। ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যাবে। এই দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বকুমার রমেশের সঙ্গেও দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ঘটনায় সমগ্র দেশ বিধ্বস্ত। মৃতদের পাশে আছেন সকলে। ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে খবর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতরের কন্ট্রোল রুম এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।’’ দুর্ঘটনার খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শাহকে ফোন করেছিলেন।