ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটিও গুলি চলবে না। শুধু তা-ই নয়, কেউই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বা শত্রুতামূলক পদক্ষেপ করবে না! এই প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখার বিষয় নিয়েই আলোচনা হল ভারত এবং পাকিস্তানের ‘ডিরেক্টর অফ মিলিটারি অপারেশন (ডিজিএমও)’-দের বৈঠকে। পাশাপাশি, সেই বৈঠকে উঠে এসেছে সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেনা কমানোর বিষয়টিও। এমনই খবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর সোমবার প্রথম বার ডিজিএমও স্তরে বৈঠক হয় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও কাশিফ আবদুল্লার মধ্যে কথা হয়েছে। দুপুর ১২টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। দুই দেশের ডিজিএমওর বৈঠক শুরু হয় বিকেল ৫টায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে সীমান্তবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বস্তুত সেই বৈঠকে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল নানা মহলে। যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ কী, তা-ও জানার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন অনেকেই।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, ভারত এবং পাকিস্তান উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে একটিও গুলি না চালানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের ডিজিএমও-দের মধ্যে। আক্রমণাত্মক পথে না হাঁটার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেনা হ্রাস নিশ্চিত করার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত শনিবার বিকেলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানান, আমেরিকার মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশ সংঘাত থামাতে রাজি হয়েছে। এর পর ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী সাংবাদিক বৈঠকে সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি সোমবার ডিজিএমও স্তরের বৈঠকের কথাও জানান।