হিমন্তের (ছবিতে ডান দিকে) মানহানি মামলার হুমকিতে গান্ধীগিরির আশ্রয় নিলেন কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে বিদ্রুপ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। যার জেরে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন হিমন্ত। অসমে হিমন্তের ডেরায় গিয়ে অবশ্য সৌজন্যকেই অস্ত্র বানালেন কেজরীওয়াল। জানালেন হিমন্ত দিল্লি গেলে তিনি তাঁকে চা করে খাওয়াতে চান। অবশ্য আপাত সৌজন্যের আড়ালেও বিজেপি নেতাকে তোপ দাগতে ছাড়েননি আপ নেতা।
দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বাক্যুদ্ধ শুরু হয়েছিল কেজরীওয়ালের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই। ইডি এবং সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে দিল্লি বিধানসভায় কেজরীওয়াল হিমন্তকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ওরা (ইডি এবং সিবিআই) হিমন্তের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েছিল আর তারপরই হিমন্ত বিজেপিকে জো হুজুর বলা শুরু করেন।” এক সময় কংগ্রেসে থাকা হিমন্ত ইডি, সিবিআই তদন্ত এড়াতেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, কেজরীওয়ালের মন্তব্যে এমনই ইঙ্গিত ছিল বলে মনে করা হয়। তারপরই কেজরীওয়ালকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হিমন্ত বলেন, “কেজরীওয়াল যদি আমার বিরুদ্ধে আর একটাও অবমাননাকর মন্তব্য করে, তবে আমি তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।”
ঘটনাচক্রে ২ এপ্রিলই অসমে আপের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। এ দিন অবশ্য হিমন্তের নামে সরাসরি কোনও অভিযোগ করেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি কি সন্ত্রাসবাদী যে আমায় আদালতে নিয়ে যাবেন? হিমন্তজি, আমি আপনাকে দিল্লিতে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনার হাতে সময় থাকলে আমরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে দিল্লি দেখতে বেরবো।” পাশাপাশি হিমন্তকে টিপ্পনী দিয়ে কেজরীওয়াল জানান, কাউকে হুমকি দেওয়া অসমের সংস্কৃতি নয়। হিমন্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হলেও সে রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি বলেও খোঁচা দেন কেজরীওয়াল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy