ফাইল চিত্র।
শুধু রাজ্যসভার একটি আসনের প্রার্থী বাছাই নয়। সীতারাম ইয়েচুরি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় যাবেন কি না, তা দলের রাজনৈতিক রণকৌশলের প্রশ্ন।
বিজেপি-সঙ্ঘের মোকাবিলায় জাতীয় ও রাজ্য স্তরের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেই রণকৌশল তৈরি করতে হবে। ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় পাঠানো নিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা এ হেন তাত্ত্বিক অবস্থানে অনড় হয়ে যাওয়ায় পিছু হঠতে হল প্রকাশ কারাট ও কেরলের নেতাদের। পিছিয়ে গেল সিদ্ধান্ত। আগামী ২৩-২৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সেখানেই ইয়েচুরিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
কেরলের নেতারা আজ প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে তাঁদের লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে। তাদের সমর্থন নিয়েই সিপিএম সাধারণ সম্পাদক রাজ্যসভায় গেলে তাঁরা রাজ্যে কী বলবেন! আলিমুদ্দিন পাল্টা যুক্তি, ইউপিএ-আমলে সিপিএম কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করেছিল। তখন তো কেরলের পার্টির অসুবিধা হয়নি। কেরলের নেতারা বলেন, পার্টি কংগ্রেসে বলে দেওয়া রয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা নয়। আলিমুদ্দিনের নেতারা যুক্তি দেন, ইয়েচুরির সংসদ থেকে বিদায়ের অর্থ বামেদের কণ্ঠ মুছে যাওয়া। ইয়েচুরি নিজে বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘রাজ্যসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। যখন হবে, তখনই সিদ্ধান্ত হবে।’’ তবে আলিমুদ্দিনের প্রস্তাব যে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, তা-ও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy