‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের হামলায় একাধিক পাকিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। অভিযোগ, ঘটা করে সেই সব ‘জঙ্গি’র শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে হাজির ছিলেন পাক সেনা এবং পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। রবিবার এই আধিকারিকদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে ভারত। তাতে পুলিশের আইজি থেকে শুরু করে সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল, অনেকের নামই রয়েছে।
ভারতীয় সেনা মোট পাঁচ জন পাকিস্তানি শীর্ষ আধিকারিকের নাম, ছবি প্রকাশ করেছে। তালিকায় রয়েছেন পাক সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফায়াজ় হোসেন শাহ। তিনি লাহৌরের চার নম্বর কোরের কমান্ডার। মেজর জেনারেল রাও ইমরান সরতাজ়, লাহৌরের ১১তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া আছেন ব্রিগেডিয়ার মহম্মদ ফুরকান শাব্বির, পঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল উসমান আনোয়ার এবং পঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য মালিক শোয়েব আহমেদ ভের্থ।
আরও পড়ুন:
ভারত যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে লশকর-এ-ত্যায়বা জঙ্গি হাফিজ় আব্দুল রাউফকে। আমেরিকার তৈরি সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় বিশেষ ভাবে চিহ্নিত তার নাম। ‘জঙ্গি’দের দেহ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়ে তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ছবিতে লশকর জঙ্গি আব্দুলকেই ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে। তার পিছনে পাক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের চিহ্নিত করে ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা।
২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী লশকর-এ-ত্যায়বার হাফিজ় সইদও জঙ্গিদের এই শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। হাফিজ়ই পাকিস্তানে জামাত-উদ-দাওয়া নামের আর একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরি করে। ভারতের দাবি, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিহত সেই সংগঠনের তিন জঙ্গি। তাদেরই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল মুরিদকেতে। নিহতেরা হল কারি আব্দুল মালিক, খালিদ এবং মুদাস্সির।
গত ৮ মে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এবং সেনাবাহিনীর যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানের এই আচরণের নিন্দা করা হয়েছিল। সেখানেই বিদেশসচিব বলেছিলেন, নিহত জঙ্গিদের দেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে শহিদের সম্মান দিচ্ছে পাকিস্তান। পরে রবিবার সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাক কর্তাদের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হল। পাকিস্তান অবশ্য প্রথম থেকেই এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। তাদের দাবি, ভারতের হামলায় সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে। তাই তাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে জাতীয় পতাকায়।