Advertisement
২১ মে ২০২৪

বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী কে? ভোটের পরে ঠিক করবেন রাহুল

দ্বিতীয় ধাপ হল ভোটের ফল কী হয়, দেখে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা। এখন সেই কাজ করতে গেলে বিভাজন হতে পারে।

রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।

রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১১
Share: Save:

বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, লোকসভা ভোটের পরে আসন সংখ্যা দেখেই তা ঠিক করতে চান রাহুল গাঁধী— এমনই খবর কংগ্রেস সূত্রে।

এর আগে রাহুলকে উদ্ধৃত করে খবর এসেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতীকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে তিনি রাজি। কংগ্রেস আজ জানিয়েছে, উদ্ধৃতিটি বিকৃত করা হয়েছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মতে, নরেন্দ্র মোদীকে পরাস্ত করতে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র-সহ রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী জোটের ‘রণনৈতিক বোঝাপড়া’ হয়ে গিয়েছে। বিরোধী শিবিরের প্রথম লক্ষ্যই হল, সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে একজোট করা। রাহুল এখন সেই কাজটিই করছেন। দ্বিতীয় ধাপ হল ভোটের ফল কী হয়, দেখে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা। এখন সেই কাজ করতে গেলে বিভাজন হতে পারে।

বিজেপি-বিরোধী অন্য দলগুলিও ভোটের পরেই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পক্ষপাতী। দু’দিন আগেই রাহুল, সনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে মমতা বলেছেন, ‘‘আমরা সবাই রাজা।’’ যদিও কংগ্রেস নেতাদের দাবি, আসনসংখ্যার নিরিখে তাঁরাই এগিয়ে থাকবেন। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হবেন রাহুলই।

রাহুলের উদ্যোগে অনেকটাই কাছাকাছি এসেছেন মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব। তৃণমূল এবং সিপিএম-ও বিজেপি বিরোধী। এই অবস্থায় মমতা ও সীতারাম ইয়েচুরির মধ্যে জোট করানোর চেষ্টা কি করবেন রাহুল? ঘনিষ্ঠ মহলে কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, সেটা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নটা ওই দুই নেতাকেই করতে হবে। কারণ, দু’দলের মধ্যে একটি (বিবাদের) ইতিহাস আছে।

পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এখনও পর্যন্ত মমতার অবস্থান, একলাই লড়বেন। জোট বাঁধার প্রশ্নে ঘোর আপত্তি রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশেরও। রাহুল সাধারণত রাজ্য নেতৃত্বের মত উপেক্ষা করেন না। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তা আপাতত প্রযোজ্য।

আরও পড়ুন: সুষমাকে ডোকলাম নিয়ে তির রাহুলের

এর পাশাপাশি জাতীয় স্তরে চন্দ্রবাবু নায়ডু, নীতীশ কুমার বা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে জোট নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নয় কংগ্রেস। এই তিন নেতাই বিজেপির প্রতি কমবেশি বিরূপ হলেও। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেসের মতাদর্শগত ফারাক রয়েছে। ফলে জোট হওয়া স্বাভাবিক নয়। নীতীশ বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার ঘোষণা করেই দিয়েছেন। আর চন্দ্রবাবু এনডিএ ছাড়লেও মোদী ছাড়া অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে বিজেপির সঙ্গেই যাবেন।’’ কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির আসন ২৩০-২৪০-এর নীচে নেমে এলে এনডিএ-তে মোদী-বিরোধী সুর চড়া হবে। তবে কিন্তু শুধু মোদী নয়, বিজেপিকেই ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব বলে মনে করেন রাহুল।

কংগ্রেস নেতারা বলছেন, আগামী বছরের লোকসভা ভোটে মেরুকরণের রাজনীতিকেই অস্ত্র করবে বিজেপি। কিন্তু রাহুলের মতে, কর্মসংস্থান ও দুর্নীতির প্রশ্নেই তার মোকাবিলা করা সম্ভব। ঠিক যেমনটা করা গিয়েছে কর্নাটক, গুজরাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE