ছবি: পিটিআই।
সংখ্যাতত্ত্বে অনেকে বিশ্বাস করেন। ভারতে এই তত্ত্ব বহুল প্রচলিত। আমরা ১৩ সংখ্যাটিকে ‘অপয়া’ বলে চিহ্নিত করি। এই সংখ্যাকে জীবনে এড়িয়ে চলারও চেষ্টা করি। তেমনই এক এক জনের কাছে এক একটি সংখ্যা ‘অশুভ’! কারও কাছে আবার কোনও সংখ্যা খুবই শুভ। এই সংখ্যাতত্ত্বের প্রভাব সংসদের অন্দরেও ঢুকে গিয়েছে। যার জেরে ৪২০ সংখ্যাটিকে লোকসভার আসনসংখ্যা থেকে বাদ দিতে হয়েছে।
কিন্তু কেন? এ বার এর নেপথ্যে কারণ জেনে নেওয়া যাক।
ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কোনও প্রতারণা, জালিয়াতি করলে ৪২০ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তাই দেশে এই সংখ্যাটিকে প্রতারণা বা জালিয়াতির প্রতীক বলেই মনে করা হয়। কোনও ব্যক্তিকে ‘৪২০’ বলার অর্থ হল ওই ব্যক্তি জালিয়াত বা প্রতারক। আবার এই সংখ্যাকে কারও উদ্দেশে কটাক্ষ করেও ব্যবহার করতেও অনেক সময় দেখি আমরা।
লোকসভার আসন সংখ্যা যত, তার মধ্যে ‘৪২০’ আসনটিকে বাদ রাখা হয়েছে। আগে এই সংখ্যাটি ছিল। কিন্তু ১৪তম লোকসভা থেকে এই সংখ্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা, লোকসভার এক সাংসদের আসনসংখ্যা ছিল ৪২০। কিন্তু সেই সংখ্যা নিয়ে তিনি আপত্তি জানিয়ে লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হন। তার পর থেকে সেই সংখ্যার আসনটি বাতিল হয়। ১৫তম লোকসভায় সংসদে আসন বণ্টনের সময় অসম ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট-এর সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে ৪২০-র পরিবর্তে ৪১৯-এ আসন দেওয়া হয়। তিনি দেশের প্রথম সাংসদ যাঁকে ৪১৯-নম্বরে আসন দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy