ফাইল ছবি
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্র। তবে বিষয়টি যে জায়গায় রয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্র একে নিষিদ্ধ করার বদলে নিয়ন্ত্রণের পথেই হাঁটতে পারে। দেশে নিষিদ্ধ না হওয়ার ফলে অনেকেই এই ভার্চুয়াল মুদ্রায় বিনিয়োগ করছেন। প্রশ্ন হল, আসন্ন বাজেটে কি ক্রিপ্টো থেকে আয়ের উপর কর চাপাতে পারে কেন্দ্র?
১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁর বাজেটে তিনি ক্রিপ্টো থেকে আয়ের উপর কর ঘোষণা করেন কি না, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রিপ্টো থেকে আয়ের উপর কর চাপানোর ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। প্রথমত এই ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনগুলি প্রকাশ্যে আনতে হবে। তা করা কতটা সম্ভব, সে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত ক্রিপ্টোর ন্যায্য বাজারমূল্য, তা থেকে করযোগ্য আয়, কী ভাবে সেই আয়কে গণনা করা হবে, সেই সব বিষয়গুলিও সরকারকে ঠিক করে কর চালু করার পথে যেতে হবে। ক্রিপ্টোর যাবতীয় লেনদেনের হিসাব রাখা হয় ব্লক চেন পদ্ধতিতে। সেই ব্লক চেন লেনদেন থেকে তথ্য সরকার কী ভাবে পাবে, সেই প্রশ্নেরও সমাধান করতে হবে সরকারকেই।
জল্পনা ছিল, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণে বিল আনতে পারে কেন্দ্র। কিন্তু তা আনেনি মোদী সরকার। এই বিলে ভার্চুয়াল মুদ্রাকে ক্রিপ্টোসম্পদ হিসেবে দেখানো হয়েছে। একে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচে়ঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)। অনুমান করা হচ্ছে, বাজেট অধিবেশনে এই বিল আনা হতে পারে।
তবে আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকার যদি ক্রিপ্টোসম্পদের উপর কর বসায় তবে লটারি, গেম শো-র ক্ষেত্রে যে হারে কর নেওয়া হয় ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে সেই হারে কর বসাতে হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, এই ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ হারে কর বসাতে হতে পারে। শেষ পর্যন্ত কী ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী, জানা যাবে বাজেট পেশের দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy