দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না প্রত্যক্ষদর্শীরা। কেউ বলছেন, এত জোরে বিস্ফোরণের শব্দ আগে কখনও শোনেননি। আবার কেউ বলছেন, রাস্তার উপরে তাঁরা দেহাংশ ছড়িয়ে থাকতে দেখেছেন। বিস্ফোরণের পর থেকে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন তাঁরা সকলেই।
সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই জোরালো শব্দে কেঁপে ওঠে দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকা। লালকেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে লালকেল্লা মেট্রো গেট এবং আশপাশের কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে অন্তত আট জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে বিস্ফোরণস্থলে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পুলিশের থেকে ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব তাঁরই মন্ত্রকের অধীনে।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, “আমি জীবনে কখনও এত জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনিনি। বিস্ফোরণের জেরে আমি তিন বার পড়ে গিয়েছি। মনে হচ্ছিল যেন আমরা সকলেই মরে যাব।” দুর্ঘটনাস্থলের কাছে উপস্থিত এখন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা রাস্তায় দেহ টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি। কী হয়েছে, কেউই বুঝতে পারছি না। আমরা যখন একজনের হাত রাস্তার উপর পড়ে থাকতে দেখলাম, আমরা সকলেই চমকে গিয়েছি। মনের মধ্যে কী চলছে আমি বলে বোঝাতে পারব না।”
আরও পড়ুন:
রাজধর পাণ্ডে নামে এক স্থানীয় বাসিন্দাও জানান, তিনি নিজের বাড়িতে বসেই বিস্ফোরণের আগুন দেখতে পান। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। জীশন নামে দিল্লির এক অটোচালকও বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান, বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া ওই গাড়িটির থেকে তিনি ‘কয়েক ফুট দূরেই’ দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, “আমি জানি না ওতে বোমা ছিল কি না। কিন্তু গাড়িটা ফেটে যায়।”
সোমবারই দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদে এক ভাড়াবাড়ি থেকে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এবং বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ২০টি বোমার টাইমার, রিমোট এবং ওয়াকিটকিও ছিল ওই বিস্ফোরকের সঙ্গে। ওই বিস্ফোরক উদ্ধারের পরে একই দিনে দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। যদিও দিল্লির বিস্ফোরণ কী কারণে ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।