আবার সেই ওড়িশা। গোপালপুর এবং কেওনঝরের পর এ বার ময়ূরভঞ্জেও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। সোমবার রাতে এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দাবি, অভিযুক্তেরা তাঁর পরিচিত। যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় বাড়িতে তাঁর স্বামী এবং পরিবারের কেউ ছিলেন না।
ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদা থানা এলাকার এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বারিপদা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আদিত্য প্রসাদ জেনা জানিয়েছেন, চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। তবে অভিযুক্তেরা সকলেই পলাতক। ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের খোঁজে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। শীঘ্রই তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি ওই আধিকারিকের।
রবিবার গোপালপুর সমুদ্রসৈকতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় দশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপালপুরে একটি উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সঙ্গে তাঁর এক বন্ধুও ছিলেন। অভিযোগ, বন্ধুকে বেঁধে রেখে তরুণীকে তুলে নিয়ে যান দশ যুবক। তার পর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও দুই জেলা কেওনঝড় এবং ময়ূরভঞ্জে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার কেওনঝড়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিন দিনে পর পর তিনটি গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে।