অভিযুক্ত স্ত্রী রঞ্জনবেন।
স্বামী সন্দেহ করতেন তাঁকে। আর সন্দেহের বশে তাঁর গায়ে হাতও তুলতেন। এ ভাবে দিনের পর দিন স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে করতে এক দিন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় রঞ্জনবেনের। স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে হত্যার ছক কষেন তিনি। তবে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন।
এক রাতে সেই সুযোগও এসে গেল। রবিবার রাতে দুই ছেলেমেয়েকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার পর রঞ্জনবেন এবং তাঁর স্বামী নবীনভাই রাতের খাবার খেয়ে যে যাঁর ঘরে চলে যান। রঞ্জনবেন ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটি ঘরে শুয়েছিলেন। পাশের ঘরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন নবীনবাই।
পরদিন সকালে ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়ার পর নবীনের ঘরে যান রঞ্জনবেন। বিছানার উপর তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার জুড়ে দেন তিনি। রঞ্জনবেনের চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন নবীনের বাবা। তিনি আসতেই রঞ্জনবেন জানান, বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে নবীন জ্ঞান হারিয়েছেন। কোনও কথা বলছেন না। তড়িঘড়ি সেই ঘরে ঢুকে নবীনের বাবা দেখেন, ছেলে বিছানায় পড়ে। গলায় এবং পায়ের নীচে আঘাতে দাগ রয়েছে।
নবীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তাঁদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই তাঁদের প্রথম সন্দেহ হয় রঞ্জনবেনকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেন।
রঞ্জনবেন পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর তিনি স্বামীর ঘরে যান। নবীন তখন অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থাতেই নবীনের গলা টিপে ধরেন রঞ্জনবেন। অচৈতন্য হয়ে পড়লে মৃত্যু নিশ্চিত করতে নবীনকে বিদ্যুতের শক দেন তিনি। খুনের অভিযোগে রঞ্জনবেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy