বিয়ে হয়েছে মাত্র ছ’মাস আগে। তার মধ্যেই বৈবাহিক জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ! সেই থেকেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার বাসিন্দা শ্রীবিদ্যা। তাঁর দেহের পাশে মিলল একটি চিরকুট। তাতে তিনি বর্ণনা করেছেন, কেন তাঁকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল!
জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে রামবাবু নামে যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্রীবিদ্যার। প্রথম প্রথম সবই ঠিক ছিল। কিন্তু বিয়ের এক মাস পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। চিরকুটে শ্রীবিদ্যা লিখেছেন, ‘‘বিয়ের এক মাস পর থেকে রামবাবু নিয়মিত মদ্যপান শুরু করেন। মত্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে মারধর করতেন। শারীরিক নির্যাতন শুধু নয়, মানসিক অত্যাচারও চালাতেন রামবাবু।’’ কী ভাবে তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হত, তার ব্যাখ্যাও দেন শ্রীবিদ্যা। তিনি তাঁর নোটে জানান, রামবাবু অন্য এক মহিলার সামনে ‘অযোগ্য’ বলে অপমান করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, প্রায় প্রতি দিনই মারধর করতেন রামবাবু।
আরও পড়ুন:
ওই চিরকুটে শুধু স্বামীর কথা বলেননি শ্রীবিদ্যা। নিজের ভাইকে এ বছর থেকে আর রাখি পরাতে না-পারার আক্ষেপও ফুটে উঠেছে। তিনি লেখেন, ‘‘ভাই, সাবধানে থাকিস। এ বার হয়তো আমি আর তোকে রাখি পরাতে পারব না।’’ আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার জন্য শ্রীবিদ্যা রামবাবু এবং তাঁর পরিবারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। শেষে শ্রীবিদ্যার আকুল আর্তি, ‘‘কোনও পরিস্থিতিতেই যেন তাঁদের (রামবাবু এবং তাঁর পরিবার) রেহাই দেওয়া উচিত নয়।’’ যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই চিরকুটে মহিলার সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।