Advertisement
E-Paper

স্কুটি নিয়ে এলেন, প্রিজ়ন ভ্যানে থাকা স্বামীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালালেন মহিলা!

পুলিশ জানিয়েছে, বিচারাধীন বন্দির নাম অনিল। তিনি হরিয়ানার পলওয়াল জেলার হোদালের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ দুই রাজ্যেই আটটি মামলা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:১১
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এক মহিলা স্কুটি নিয়ে এলেন। পুলিশের গাড়িতে থাকা খুনের মামলায় অভিযুক্ত স্বামীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালালেন। ঠিক যেন হিন্দি ছবির কোনও দৃশ্য। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরায়।

পুলিশ জানিয়েছে, বিচারাধীন বন্দির নাম অনিল। তিনি হরিয়ানার পলওয়াল জেলার হোদালের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ দুই রাজ্যেই আটটি মামলা চলছে। মথুরা জেলে বন্দি ছিলেন অনিল। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের একটি মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার।

মথুরা জেল থেকে অনিলকে আদালতে নিয়ে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর (এএসআই) এবং দুই কনস্টেবল। হোদালের একটি আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। আদালতে শুনানি শেষে অনিলকে নিয়ে আবার প্রিজ়ন ভ্যানে চাপিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ডাবচিকের কাছে যখন প্রিজ়ন ভ্যানটি পৌঁছয়, আচমকাই স্কুটি নিয়ে অনিলের স্ত্রী আসেন। প্রিজ়ন ভ্যানের সামনে গা়ড়ি দাঁড় করান। তার পর স্বামীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে স্কুটিতে চেপে পালিয়ে যান।

এই ঘটনায় হুলস্থুল প়ড়ে যায় মথুরায়। কী ভাবে এই ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, তিন জন পুলিশকর্মী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে বন্দিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এক জন মহিলা। পুলিশকর্মীরা কি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেননি? তা হলে কি পুলিশকর্মীদের সঙ্গেই কোনও যোগসাজশ ছিল? প্রশ্ন উঠছে যে, ওই সময়ে ওই রাস্তা ধরেই যে প্রিজ়ন ভ্যানটি আসছে, সেটি কী ভাবে খবর পেলেন অনিলের স্ত্রী? শুধু অনিলের স্ত্রীই ছিলেন, না কি আরও কেউ তাঁকে সহযোগিতা করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে বন্দির নিরাপত্তার থাকা তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অনিল এবং তাঁর স্ত্রীকে খোঁজে তল্লাশি চলছে।

UP Police Prisoner
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy