প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রেদেশের বুলন্দশহরে মা-মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪৮ ঘণ্টার আগেই ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করেছে তারা। বুলন্দশহরের এসএসপি বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে এক জন আদিবাসী গোষ্ঠীর।”
উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি জাভেদ আহমেদ নিজে এই ঘটনার তদন্তে রয়েছেন। তিনি টুইট করে বলেন, “বুলন্দশহরের এই ঘটনা একটা চ্যালেঞ্জ পুলিশের কাছে। দোষীদের ধরতে সব সূত্রকে পুরো দমে কাজে লাগানো হয়েছে।”
গত শুক্রবার রাতে নয়ডা থেকে গাড়ি করে সাহাজানপুরে যাচ্ছিল একটি পরিবার। শুনশান দিল্লি-কানপুর হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি ভাল গতিতেই চলছিল। বুলন্দশহরের কাছে দোস্তপুর গ্রামের কাছে তখন তাঁদের জন্য ওত্ পেতে ছিল ভয়ানক বিপদ। ওই গ্রামের কাছে আসতেই তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে একটা লোহার রড উড়ে আসে। সজোরে গাড়ির কাচে লাগে সেই রডটি। কী হয়েছে দেখতে গিয়ে গাড়ি থেকে চালক নামতেই জঙ্গল থেকে পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল গাড়িটিকে ঘিরে ধরে। পরিবারের চার সদস্যের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাস্তার পাশে অন্ধকার মাঠে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সর্বস্ব লুঠ করে। অভিযোগ, তার পর ওই পরিবারের এক মহিলা ও তাঁর ১৪ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণ করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। যাওয়ার আগে ওই পরিবারের সকলের হাত-পা বেঁধে রেখে যায় ডাকাতরা। পুরো ঘটনাটাই ঘটে পুলিশ চৌকি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে। অথচ টেরই পেল না পুলিশ! শনিবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশ চৌকিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। সাসপেন্ড করা হয় ডিউটি অফিসার ললিত কুমারকে। পরে অবশ্য বুলন্দশহরের এসএসপি, এএসপি, সার্কেল ্অফিসারকেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। ডিআইজি লক্ষ্মী সিংহ জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে রাজস্থানের আদিবাসীদের বিশেষ একটি দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আলিগড়ের দুষ্কৃতী দলের জড়িয়ে থাকার বিষয়টিকেও উড়িয়ে দেননি ডিআইজি।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy