প্রতীকী ছবি।
ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল তাঁদের। সেখান থেকে ধীরে ধীরে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক চলে। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক পরিণতিও পায়। কিন্তু বিয়ের ছ’দিনের মধ্যেই স্ত্রীকে ছেড়ে পালান স্বামী। সুবিচারের আশায় তরুণী এখন পুলিশের দ্বারস্থ।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের। কানপুরের এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় শৈলেন্দ্র সিংহ নামে এক যুবকের। ১০ বছর ধরে সেই সম্পর্ক ধরে রাখেন দু’জনেই। এই সময়ের মধ্যে দু’জনের বেশ কয়েক বার সাক্ষাৎও হয়। দীর্ঘ ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার জন্য দু’জনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১ জুলাই শৈলেন্দ্র এবং কানপুরের ওই তরুণী বিয়ে করেন। কিন্তু সেই পরিণতির যে ‘চরম পরিণতি’ হবে তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি তরুণী। বিয়ের প্রথম পাঁচ দিন বেশ ভাল ভাবেই কেটেছিল দু’জনের। নতুন জীবনে প্রবেশ করে বেশ খুশিতে ছিলেন তরুণী। কিন্তু বিয়ের ষষ্ঠ দিনই তাঁর জীবনের সমস্ত কিছু ওলটপালট হয়ে যায়। স্ত্রীকে ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে যান শৈলেন্দ্র। ফেসবুকে যে সম্পর্ক ১০ বছর টিকেছিল, মাত্র ছ’দিনেই সেই সম্পর্ক ভেঙে খান খান হয়ে গেল।
স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে দিশাহারা হয়ে তরুণী পুলিশের দ্বারস্থ হন। ১০ জুলাই শৈলেন্দ্রকে খুঁজে বার করে পুলিশ। এর পরই তরুণী অভিযোগ করেন, শৈলেন্দ্র পণের জন্য তাঁর বাপের বাড়িতে চাপ সৃষ্টি করছেন। ২৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং গাড়ি দাবি করছেন তাঁর স্বামী। তরুণীর আরও অভিযোগ, ১০ বছরের সম্পর্কে তাঁর সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন শৈলেন্দ্র। বিয়ের জন্য বার বার চাপ দিচ্ছিলেন। এর পরই তাঁরা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy