প্রতীকী ছবি।
বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। লম্বা বিমানসফর করে স্বভাবতই ক্লান্ত ছিল সে। কিন্তু তাতে তাঁর মনুষ্যত্বে কোনও ভাটা পড়েনি। বরং তাঁর সিদ্ধান্ত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতের সংস্কৃতিতে মনুষ্যত্ব, ভিন্ধর্মের প্রতি সম্মান ও পারস্পরিক সৌহার্দ্যই দস্তুর। বর্তমানে, বিশেষ করে এই বছরের রমজান উপলক্ষে দেশের একাধিক স্থানের ঘটনাপ্রবাহ যা-ই ইঙ্গিত করুক না কেন!
ঘটনাটি ঠিক কী, তা জানতে গেলে ফিরে যেতে হবে গত ১৫ এপ্রিলে। মুম্বইয়ের প্রিয়া সিংহ বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাপ ক্যাব বুক করেছিলেন। ক্যাবে উঠে যাত্রা শুরু করার মিনিট দশেকের মধ্যে তিনি খেয়াল করেন চালকের ফোনে আজানের সুর বাজছে। কৌতূহলী প্রিয়া চালককে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি ইফতার পালন করছেন কি না। চালক জানান, রেন্টাল ডিউটি থাকায় আজ রাস্তার মাঝেই ইফতার সেরেছেন তিনি। সে কথা শুনে প্রিয়া তাঁকে জানতে চান তিনি নমাজ পড়তে চান কি না। চালক সম্মত হলে রাস্তার পাশে গাড়ি থামানো হয়। তার পর পিছনের আসন থেকে নেমে সামনের আসনে এসে বসেন ওই তরুণী।
সমাজমাধ্যমে নিজের সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রিয়া। তাঁর দাবি, চালক সম্মত হওয়ার পরে তাঁকে গাড়ি থামাতে বলেন তিনি। তার পর পিছনের আসন থেকে নেমে সামনের আসনে এসে বসেন। পিছনের আসনে নমাজ পড়তে শুরু করেন চালক।
প্রিয়া আরও লিখেছেন, “এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভারতবর্ষের কথাই আমার বাবা মা আমাকে শিখিয়েছেন।” পরে চালকের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবতা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় চালকের সঙ্গে, এমনটাও জানিয়েছেন ওই তরুণী।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে প্রিয়ার পোস্টটি। নেটিজেনরা প্রশংসা করেছেন তাঁর। একাধিক মানুষ দাবি করেছেন, সর্বধর্মসমন্বয়ের এই ভারতই আসল ভারতবর্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy