Advertisement
E-Paper

শৌচাগার তৈরিতে মঙ্গলসূত্র বন্ধক দিলেন বধূ!

ফুলকুমারীর বাড়ি বিহারের বরাহখন্ন গ্রামে। স্বামীর যা রোজগার তাতে সংসার ঠিকমতো চালানোই মুশকিল। তাই ওই গ্রামেরই একটি প্রাথমিক স্কুলে রান্নার কাজ করে সংসার চালান তিনি। নুন আনতে পান্তা ফুরনো অবস্থা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৯:১৬

ফুলকুমারীর বাড়ি বিহারের বরাহখন্ন গ্রামে। স্বামীর যা রোজগার তাতে সংসার ঠিকমতো চালানোই মুশকিল। তাই ওই গ্রামেরই একটি প্রাথমিক স্কুলে রান্নার কাজ করে সংসার চালান তিনি। নুন আনতে পান্তা ফুরনো অবস্থা। বাড়িতে শৌচাগারও নেই। প্রকৃতির টানে ছুটে যেতে হয় মাঠে। আর তাতেই লজ্জার মুখে পড়তে হয় ফুলকুমারীকে। এ দিকে টিভিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞাপনে রোজই বিদ্যা বালন বাড়িতে শৌচালয় তৈরির কথা বলছেন।

একদিন বাড়িতে শৌচাগার বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ফুলকুমারী। কিন্তু যেখানে পেট ভরে দু’বেলা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়, সেখানে শৌচাগার বানানো তো তাঁদের কাছে নিছক কল্পনার! কিন্তু জেদি ফুলকুমারী তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে সরে যেতেও নারাজ। শৌচাগার তৈরির টাকার জোগানের জন্য নিজের ‘মঙ্গলসূত্র’ বন্ধক রাখলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন পরিবারের পুরুষ সদস্যেরা। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ফুলকুমারী।

আরও পড়ুন:শৌচালয় নেই, শ্বশুরবাড়ি ছাড়লেন নববধূ

এই খবর কানে যেতেই ফুলকুমারীকে জেলার ‘স্যানিটেশন প্রোগ্রাম’-এর মুখ করার সিদ্ধান্ত নিল রোহতাস জেলার প্রশাসন। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত। রোহতাসের জেলাশাসক অনিমেষ কুমার পরাশর বলেন, ‘‘গত বুধবার ওই মহিলার স্বামী এবং শ্বশুরের উপস্থিতিতেই শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।’’

বিহারে আগামী চার বছরে ৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৬৩টি শৌচাগার তৈরির লক্ষ্য স্থির করেছে নীতীশ সরকার। গোটা প্রকল্প রূপায়ণে মোট ৬০২ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। কেন্দ্র শৌচাগার পিছু চার হাজার এবং রাজ্য সরকার আট হাজার টাকা করে দেবে বলে জানিয়েছেন নগরোন্নয়ন সচিব চৈতন্য প্রসাদ।

Bihar Toilet Phool Kumari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy